উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের এক বাসিন্দাকে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে। তাঁর নাম রামফল প্রজাপতি। কৈলাস নামে একজন তাঁকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তারপর থেকে রামফলের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই মামলায় সোমবার কৈলাসের জামিনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি হয়। তাঁর আর্জি খারিজ করে বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল জানান, সংবিধান অনুসারে কেউ নিজের ধর্মের প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু প্রচারের অর্থ ধর্মান্তকরণ নয়। বিচারপতি বলেন, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে তফশিলি জাতি ও উপজাতি এবং আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের গণহারে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
রামফলের দাদা রামকলি এফআইআরে জানিয়েছেন, তাঁর ভাই মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দিল্লির একটি ধর্মীয় সমাবেশে ওই রোগের চিকিত্সার টোপ দিয়ে কৈলাস রামফলকে দিল্লি নিয়ে যান। এক সপ্তাহ পর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রামফল আর বাড়ি ফেরেননি। এফআইআরে বলা হয়েছে, শুধু রামফল নন, হামিরপুরের আরও অনেককে দিল্লির সমাবেশে নিয়ে গিয়ে খ্রিস্টান করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পর কৈলাসকে অপহরণ ও উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুনানি চলাকালীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, এই ধরনের ধর্মীয় সমাবেশে প্রচুর মানুষকে খ্রিস্টান করা হয়েছে। এর বিনিময়ে কৈলাস টাকাও পেতেন। পাল্টা কৈলাসের আইনজীবী দাবি করেন, রামফলকে ধর্মান্তরিত করা হয়নি। তিনি শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশে গিয়েছিলেন। যে ধর্মগুরু ওই সমাবেশ আয়োজন করেছিলেন, তিনি এখন জামিনে মুক্ত।