কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
আগামী বুধবার খাদ্যশ্রী ভবনে ধানক্রয় নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আলোচনা হবে মোট ২০ দফা বিষয়ে। আলোচ্যসূচির ৩ নম্বরে রয়েছে চাষিদের ধানের দাম মেটানোর বিষয়টি। এখানে পিএফএমএস এবং ইন্ট্রিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএফএমএস)-এর উল্লেখ করা হয়েছে। আইএফএমএস হল রাজ্য অর্থদপ্তরের নিজস্ব পোর্টাল। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মীদের বেতন ,ভাতা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের প্রাপ্য টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।
রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে যে ধান কেনে তার হিসেব রাখা হয় দুটি পৃথক ব্যবস্থায়। সেন্ট্রাল ও স্টেট পুলে ধান কেনে রাজ্য সরকার। সেন্ট্রাল পুলের জন্য ধানক্রয় এবং চাল উৎপাদন, পরিবহণ প্রভৃতি বাবদ টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। রাজ্যে জাতীয় প্রকল্পের আওতাভুক্ত রেশন গ্রাহকদের ওই ধান থেকে তৈরি চাল দেওয়া হয়। কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চাল সরবরাহ করা হয় সেন্ট্রাল পুল থাকে।
অন্যদিকে, রাজ্যের প্রকল্পের গ্রাহকদের দেওয়া হয় স্টেট পুলের চাল। ওই চাল তৈরির জন্য ধানক্রয়সহ নানা খরচের পুরোটাই রাজ্য বহন করে। স্টেট পুলের ধানের টাকা মেটানোর প্রক্রিয়া আইএফএমএসের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে ওই ধানক্রয় প্রক্রিয়ার উপর রাজ্য অর্থদপ্তরের নজরদারি থাকবে। ফলে সব মিলিয়ে সরকারি উদ্যোগে ধানক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়বে।
সেন্ট্রাল পুলের জন্য ধানক্রয় প্রক্রিয়া পিএফএমএসের মাধ্যমে হলে কেন্দ্রের টাকা পেতে সুবিধা হবে বলে মনে করেন রাজ্যের কর্তারা। ধান কেনা নিয়ে রাজ্য ঠিকমতো হিসেব দেয় না, এমন অজুহাতে কেন্দ্র প্রায়ই টাকা আটকে দেয়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বিপুল টাকা এখনও বাংলার পাওনা রয়েছে। পিএফএমএস পোর্টালের মাধ্যমে ধানক্রয় হলে কেন্দ্র আর টাকা আটকাতে পারবে না বলেই আশাবাদী রাজ্য সরকার।