বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
সংসদীয় কমিটির কাছে অর্থসচিবের এই স্বীকারোক্তির সংবাদ বুধবার ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির কাছে এই বার্তা প্রবল উদ্বেগের। সোমবারই অর্থমন্ত্রক জিএসটির অংশ বাবদ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল রাজ্যগুলিকে। কিন্তু সেটি ছিল ২০১৯-২০ সালের বকেয়ার অংশ। পশ্চিমবঙ্গ এখনও পর্যন্ত পেয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বকেয়া রয়েছে এখনও ৫ হাজার কোটিরও বেশি অঙ্ক। এই অবস্থায় আগামী দিনে রাজ্যগুলির আয় ব্যাপক ধাক্কা খাবে বলে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের বয়ানে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিরোধী দলগুলির সদস্যরা কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের কাছে জানতে চান, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অবস্থা এখন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা স্পষ্ট করে জানানো হোক। এই কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির জয়ন্ত সিনহা। অর্থসচিবকে বিরোধী সদস্যরা প্রশ্ন করেন, কেন্দ্র থেকে জিএসটি শেয়ার পাওয়া রাজ্যগুলির অধিকার। তাহলে এভাবে হঠাৎ জিএসটির অংশ দেওয়া বন্ধ করা যায় নাকি? তাহলে রাজ্যগুলি আর্থিক সঙ্কট সামলাবে কীভাবে? অর্থসচিব জানান, জিএসটি আইনেই বলা হয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতে জিএসটি আদায় কমে গেলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে জিএসটি বিভাজনের ফর্মুলা বদলানো যেতে পারে। করোনা এবং লকডাউনের কারণে অর্থনীতিতে সামগ্রিক ধাক্কা এসেছে। আর্থিক লেনদেন, বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন সবই স্তব্ধ ছিল কয়েক মাস। তাই জিএসটি আদায় কমে গিয়েছে। সুতরাং দরকার হলে আইনের বদল ঘটানো হবে।
এই সিদ্ধান্ত সত্যিই কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য যথেষ্ট বড় উদ্বেগ অপেক্ষা করে আছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য ও বকেয়া অর্থ চেয়ে আসছেন। এমনকী উম-পুনের ক্ষতিপূরণ বাবদ মাত্র ১ হাজার টাকা দেওয়ার পর আর কোনও টাকাই এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার দাবি করেছেন যে, প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার পায় কেন্দ্রের কাছে। এমনকী সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীনও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাপ্য জিএসটি মিটিয়ে দিতে। এমতাবস্থায় জিএসটি শেয়ার অস্থায়ীভাবে বন্ধ হলে আগামী দিনে রাজ্যগুলির উপর প্রবল আর্থিক বোঝা পড়বে। সেই আভাসই এদিন পাওয়া গিয়েছে। আর সবথেকে বড় সঙ্কট আসবে সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশনে।