বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এদিকে, রাফাল ভারতে আসার ঠিক প্রাকমূহূর্তে হঠাৎ ভারত মহাসাগরে একঝাঁক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। সম্প্রতি আমেরিকা ও ভারতীয় নৌসেনা যৌথ মহড়া দিয়েছিল ভারত মহাসাগরে। লাদাখে চীনের সঙ্গে টানাপোড়েনের আবহে রাফালের এদেশে আসা ও ভারত মহাসাগরে হঠাৎ যুদ্ধজাহাজের অতি সক্রিয়তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, লাদাখে বিগত একমাসের বেশি সময় ধরে চীন ও ভারতের আলোচনা চললেও সেনা সরে যাওয়া নিয়ে সামগ্রিক সমস্যা মেটেনি। কারণ, প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ থেকে ৮ এবং গলওয়ান উপত্যকার সীমান্ত এলাকায় এখনও চীন সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। এই নিয়ে আবার চলতি সপ্তাহে বৈঠক হওয়ার কথা দু’দেশের কমান্ডার স্তরে।
লাদাখ, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনা সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যায়। রাফাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এবার ভারত মহাসাগরেও তৎপরতা বৃদ্ধি করছে নৌবাহিনী। ভারত ও চীনের সংঘাত কি তাহলে দীর্ঘমেয়াদি হতে চলেছে? দুপুর আড়াইটে নাগাদ বুধবার আম্বালায় একে একে পাঁচটি রাফাল মাটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে। কারণ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, আমি খুবই খুশি রাফালের আগমনে। কারণ একেবারে সঠিক সময়ে রাফাল সংযুক্ত হল বায়ুসেনায়। সঠিক সময় বলতে তিনি কী ইঙ্গিত করলেন, প্রশ্ন সেটাই? রাফালের অবতরণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংস্কৃতে একটি বার্তা দেন ট্যুইটারে। যে বার্তার প্রতিপাদ্য হল, রাষ্ট্রের সুরক্ষাই শেষ কথা, তার থেকে বড় ব্রত আর কিছু নেই। বুধবার ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করার পরই তাদের স্বাগত জানায় আরব সাগরে মোতায়েন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আই এন এস কলকাতা। রেডিও বার্তা দেওয়া হয়, ডেল্টা থ্রি, স্বাগত, অবতরণ সুরক্ষিত হোক। পালটা রাফালের পাইলটরা জানান, থ্যাঙ্ক ইউ। হ্যাপি হান্টিং...ওভার অ্যান্ড আউট!
আম্বালায় নামল প্রথম রাফাল। ছবি: পিটিআই