বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
শহরাঞ্চলে কোভিডের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেখানে উঠে এসেছে নগরায়ন, জনস্বাস্থ্য, দূষণ মোকাবিলার মতো একাধিক বিষয়। সেই রিপোর্টে পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী অতিমারী কোভিডের মূল আঁতুড়ঘর উন্নত শহরাঞ্চলই। কারণ, আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই শহরের বাসিন্দা। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় একথা পরিষ্কার, এই বেলাগাম সংক্রমণের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি তো রয়েছেই। কড়া লকডাউনে বায়ুদূষণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলাতেই দিল্লি করোনা মোকাবিলায় সাফল্য পেয়েছে বলে প্রশংসা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
তবে একইসঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাফ হুঁশিয়ারি, পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং তা বজায় রাখার একটা সুযোগ করে দিয়েছে লকডাউন। যার জেরে দুনিয়াজুড়ে দূষণের হার অনেক কমেছে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শহরগুলি যদি পুরনো ছন্দে ফিরে যায়, তাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের স্পষ্ট বার্তা, শহরগুলি পুরোদমে চালু করার আগে নগরনীতির বেশ কিছু বদল আনা প্রয়োজন। অর্থনীতির চাকা ঘুরুক। কিন্তু সবই যেন সুষ্ঠু পরিকল্পনা মেনে করা হয়। মুম্বইয়ের প্রসঙ্গ টেনে গুতেইরেস বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক শহর একাধিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, পানীয় জলের অপর্যাপ্ত জোগান, অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা যার মধ্যে অন্যতম। প্রধানত, শহরের অনুন্নত অঞ্চলে এই বিষয়গুলি নজরে এসেছে। আর কোভিডের প্রকোপ সামগ্রিক বৈষম্যের ছবিটিকে মেলে ধরেছে।’ এরপরই তিনি নগরাঞ্চলকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার আবেদন জানান।
গুতেইরেসের মতে, জনঘনত্বের সঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই। কিন্তু নাগরিকদের সামগ্রিক জীবনযাপনে সার্বিক সাম্য না থাকায় কোভিড মূলত শহরাঞ্চলে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। থাকা-খাওয়া ও রুজিরোজগারের ধরনে এই বৈষম্যের ছবি ফুটে ওঠে। এখনও বিশ্বের ২৪ শতাংশ শহরবাসী বস্তিতে থাকেন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ন্যূনতম সুযোগটুকুও মেলে না। তাই ভাইরাস মোকাবিলা কিংবা নগর পুনর্গঠন— দু’টি বিষয়ে এগনোর আগে এই বিভেদ ঘুচিয়ে ফেলা জরুরি। আর এক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে হবে স্থানীয় ও দেশের নেতৃত্বকে। গাজিপুরের ময়লার স্তূপ পরিদর্শনে গৌতম গম্ভীর।-পিটিআই