বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
তাঁর কাছে অবশ্য বক্তিগত বলে কিছু নেই। পুরোটাই দেশের জন্য। বাবা জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের প্রাক্তন ডিএসপি। দেশসেবার নেশা রক্তে ঢুকে গিয়েছিল তাঁর থেকেই। জম্মু-কাশ্মীর সৈনিক স্কুলের এই প্রাক্তনী ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীন ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে যখন বায়ুসেনায় যোগ দেন, তখনও তাঁকে পাড়ার লোক ‘ডিএসপির ছেলে’ বলেই ডাকত। কিন্তু রাফাল সাফল্যের পর নিজের পরিচয়েই বুধবার পাড়ায় ফিরেছেন তিনি। জঙ্গিদের হুমকিতে বিয়ের দু’দিন আগে যাঁকে জম্মুর নাগরোটায় দু’কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে হয়েছিল, তাঁর হাত ধরেই এবার চীনের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। কিন্তু রাফাল ভারতে আনার পিছনে তাঁর অবদানটা কী? ফাইটার কমব্যাট লিডার ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইনস্ট্রাকটর এয়ার কমোডোর রাঠের মিরাজ ২০০০ স্কোয়াড্রনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গোয়ালিয়রের ফরওয়ার্ড এয়ারফোর্স বেস স্টেশন পরিচালনা করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। এছাড়া মিগ ২১, মিরাজ, কিরণ— প্রতিটি উড়ানই ছিল ত্রুটিহীন। ফলে রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য বরডক্সের ফ্রেঞ্চ প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা এবং হাতেকলমে কাজ করার জন্য তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেজন্য শেষ এক বছর বরডক্সেই পড়েছিলেন তিনি। রাঠের শুধু আলোচনা চালাননি, মূলত তাঁর উদ্যোগ এবং প্রেজেন্টশনেই ভারতের জন্য তৈরি রাফালে ১৩টি নতুন ‘ক্যাপাবিলিটি’ এবং ৩৫টি ‘অ্যাডভান্স ফাংশন’ যুক্ত করেছে নির্মাতা সংস্থা ডাসো। কারণ, ভারতীয় পরিবেশে এইগুলো প্রয়োজন বলে একপ্রকার জেদ ধরে বসেছিলেন তিনি। পাশাপাশি মাঝ আকাশে ফরাসি ট্যাঙ্কের থেকে রিফুয়েলিং নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ১৫২ জন টেকনিশিয়ান এবং ২৭ জন পাইলটের প্রশিক্ষণ পর্বে কড়া নজরদারি চালিয়েছিলেন। কারণ, তার আশা ছিল রাফাল ভারতে আসবেই। চুক্তি হওয়ার প্রায় চার বছর পর তাঁর সেই স্বপ্ন সত্যি হল। ভারতের হাতে এল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান রাফাল।