কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
২০১৮ সালে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলে, কর্মরত সমস্ত রেজিস্ট্রারের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করা হল। আর সেই অর্ডারে স্পষ্ট উল্লিখিত ছিল, ৩১ আগস্ট ২০১৮ সাল পর্যন্ত যাঁরা রেজিস্ট্রার রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে। ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে সেই আধিকারিকের অবসরের বয়স হবে ৬৫ বছর। না হলে সেক্ষেত্রে তাঁর অবসর ৬০ বছরেই হবে। এখানেই জটিল হয়েছে বিষয়টি। ২৮ জুন ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে ম্যাকাউটের রেজিস্ট্রারের। তার আগে তিনি উপাচার্যের মনোভাব বুঝে ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রিলিজ না দিতেই অনুরোধ করেন। উপাচার্যের যুক্তি ছিল, যে অর্ডারে বলা হয়েছে, ৩১ আগস্ট ২০১৮ সালে কর্মরত রেজিস্ট্রারদের অবসরের বয়স হবে ৬২, সেখানে তিনি ২০১৯ সালে কাজে যোগ দেওয়া পার্থপ্রতিমবাবুর এক্সটেনশন কীসের ভিত্তিতে দেবেন?
এর মধ্যেই আইনি পরামর্শ নিয়ে অবশ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেন উপাচার্য। সেখান থেকে অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, অবসরের বয়স ৬২ বছর হওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র সেই সময় কর্মরত রেজিস্ট্রারদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। পার্থপ্রতিমবাবু পরে যোগদান করলেও তিনি সেই সুবিধা পাবেন। তাহলে কেন উপাচার্য রেজিস্ট্রারকে রিলিজ করে দিলেন? এর উত্তরে উপাচার্য বলেন, ‘কোনও একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে দপ্তর এক আধিকারিকের মাধ্যমে চিঠি দিয়েছে। কোনও গেজেট বিজ্ঞপ্তি না থাকলে আমি এটা কার্যকর করতে পারি না। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রেজিস্ট্রারের অবসর নেওয়ারই কথা।’
যদিও, এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। রেজিস্ট্রার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, পার্থপ্রতিমবাবুর জন্যই ম্যাকাউট ভালো জায়গায় গিয়েছে। উপাচার্য মনে করছেন তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় বিক্ষোভ রেজিস্ট্রারের নির্দেশে হচ্ছে। তাই তিনি রেজিস্ট্রারের উপরে অসন্তুষ্ট। এছাড়া, রাজ্যপালের নির্দেশেও সরকার বিরোধী অবস্থান নিচ্ছেন তিনি।