কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
অযোধ্যার রামমন্দিরের ছাদ ফেটেছে। অঝোরে জল পড়েছে জব্বলপুর এয়ারপোর্টে। সদ্য ট্রেনের মিডল বার্থ ভেঙে লোয়ার বার্থের যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস সহ বিরোধীরা শুক্রবার দিনভর এনডিএ সরকারকে অভিশপ্ত প্রশাসক আখ্যা দিয়ে তোপ দেগে গিয়েছে। তাদের আক্রমণ, এই সরকারের প্রশাসনিকা ব্যর্থতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আম জনতা ট্রেন, এয়ারপোর্ট, মন্দির, সেতু—কোথাও নিরাপদ নয়। দিল্লির যে টার্মিনাল ভেঙে পড়েছে, তার সংস্কার, মেরামতি এবং নবনির্মাণের কাজ ১৯ মাস ধরে চলেছে। মোট ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৪৬০০ কোটি শুধুই এই নব-সংস্কারে খরচ হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, উদ্বোধনের মাত্র তিনমাসের মধ্যে এই হাল কেন একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের? রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদবরা বলেছেন, সরকারকেই এই দায় নিতে হবে।
তাবৎ অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। অসমারিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘টার্মিনালের যে অংশের ছাদের একাংশ ভেঙেছে, সেটি ২০০৯ সালে নির্মিত। প্রধানমন্ত্রী এই অংশ মোটেই উদ্বোধন করেননি। তিনি টার্মিনালের অন্য একটি অংশের উদ্বোধন করেছেন।’ দিল্লি এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একমাসের মধ্যেই সংস্কারের জন্য এই অংশটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে স্থির হয়ে আছে। তার মধ্যেই প্রবল বর্ষণে এই ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে প্রলেপ হিসেবে নিহতের পরিবারকে ২০ লক্ষ ও জখমদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সরকার স্বীকার করছে যে, ১০ বছরে মোদি সরকার এই টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণই করেনি? তাহলে এর মেরামতি না করে অন্য অংশকে ঝাঁ চকচকে করে তোলা কেন? শুধুই ভোটপ্রচার?