বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
ইতিমধ্যেই রাজ্যের আবেদনে সায় দিয়ে কলকাতা এবং শহরতলি জুড়ে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজে নেমেছে সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জলমগ্ন অংশে পরিস্থিতি একটু একটু করে ঠিক করতে কলকাতা পুরসভাও এলাকায় এলাকায় পাম্প চালু করে জল নিষ্কাশন শুরু করেছে। পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করতে ছ’টি পাম্পিং স্টেশনে বসানো হয়েছে জেনারেটর। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, বাংলাকে ছন্দে ফেরানোই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী সবরকমভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর দুর্যোগ আগে বড় একটা দেখা যায়নি। তাই সময় লাগছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
এদিন স্বরাষ্ট্রদপ্তরের তরফে দু’দফায় ট্যুইট বার্তায় জানানো হয়, সিইএসসি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দুপুরের মধ্যে শহরের বহু এলাকাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক সল্টলেক ও নিউটাউনেও। সিইএসসি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, লোকবলের অভাবে সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ায় একটু বিলম্ব হয়েছে, তবে সবরকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও অত্যন্ত সক্রিয়। সেই কারণে বহু এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ চালু করা গিয়েছে।
এদিকে, নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কথা হয়। সিইএসসি’র তরফে জানানো হয়েছে, শহরের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে এসেছে। একইরকমভাবে বিদ্যুৎ পর্ষদের পক্ষ থেকেও মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৎপরতার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য শুধু হাজার হাজার গাছই উল্টে পড়েনি, বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মোট ২৭৩টি সাব স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২১৫টি মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে।
পাশাপাশি সেনাসূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে সেনা ও এনডিআরএফের সহযোগিতায় বেহালা, টালিগঞ্জ, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ, বিধাননগর সহ শহরের বেশ কিছু এলাকায় ভেঙে পড়া বড় বড় গাছ কেটে সরানো গিয়েছে। ফলে যান চলাচলও শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রায় ১৭ হাজার কর্মী রাস্তায় নেমে পড়েছেন পরিষেবা দিতে। জঞ্জাল সাফাই থেকে পানীয় জল, সবকিছুই সুষ্ঠভাবে দিতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাঁরা ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেছেন।
দুর্যোগের পর বন্দি চার দিন। পূর্ণ দাস রোডে।- নিজস্ব চিত্র