চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর বেআইনি নির্মাণে নজরদারির জন্য বিধাননগর পুরসভার ৬টি বোরো এলাকায় ছ’টি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে একজন করে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে রাখা হয়েছে। এই টিম থেকে নিয়মিত রিপোর্ট সংগ্রহ করছে পুরসভা। কোথাও গোলযোগ ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৯ মাসে ১৭৪টি বেআইনি নির্মাণের উপর ‘স্টপ অর্ডার’ করা হয়েছে। ৩৫টির বেশি এফআইআর এবং ৪০টিরও বেশি জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে। পুরসভার দাবি, বেআইনি বিল্ডিংয়ে ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে পড়েছেন অনেক ক্রেতা। বিষয়টি এক ধরনের আর্থিক প্রতারণাও বটে। সেকারণেই ওই প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
বেআইনি নির্মাণ করে ক্রেতাকে ঠকাচ্ছে প্রোমোটারদের একাংশ। পুরসভা এফআইআর করলেও অভিযুক্ত প্রোমোটার সহজেই আগাম জামিন নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতার বাড়ির মূল্যায়ন হচ্ছে না। এবার বেআইনি নির্মাণ করলে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে যাতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা যায়, তার জন্য তৎপর হচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। সেই সঙ্গে বেআইনি পার্কিং, বেআইনি হোর্ডিং, পুকুর ভরাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনুমোদন থাকা পার্কিং লট ছাড়াও অনেকগুলি বেআইনি পার্কিং চলছে। ফুটপাত দখলের সমস্যার সমাধানে দখলদারদের নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিধাননগরে জবরদখল নিয়ে তোপ দেগেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরদিনই ওই জবরদখল সরিয়ে ফুটপাত মুক্ত করা হয়েছে। যদিও সেক্টর ফাইভে নির্মীয়মাণ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে নতুন করে জবরদখল শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে, বিধাননগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নয়নজুলির উপর দু’টি বেআইনি দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি পুর চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত পুরসভাকে জানিয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন তিনি।