চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইবি’র কাছে আসে, গরফায় গুদাম ভাড়া নিয়ে ভেজাল সর্ষের তেল তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন লরি বোঝাই করে সর্ষের তেলের টিন আসছে এখানে। তার সঙ্গে ঢুকছে তুষের তেল। সেখানে সর্ষের তেলের সঙ্গে তুষের তেল মেশানো হচ্ছে। এই খবরের ভিত্তিতে ওই গুদামে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে উপস্থিত এক কর্মীর কাছে ব্যবসার কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তদন্তকারীদের তা দেখাতে পারেননি। তাঁরা সর্ষে ও তুষের তেলের নমুনা সংগ্রহ করে গুদাম সিল দেন। ওই নমুনা পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের ফুড ল্যাবরেটরিতে। কয়েকদিন আগে সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে ইবি। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উভয় তেলই নিম্নমানের। এর সঙ্গে যে রাসায়নিক মেশানো হয়েছে, তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই ভেজাল তেল থেকে রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই পুলিস এই কারখানা তথা গুদামের মালিকের বিরুদ্ধে কেস রুজু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, পোস্তা এলাকায় বারবার তল্লাশির কারণে ডেরা বদল করেছে এই ব্যবসায়ী। এই ভেজাল তেল বিক্রি করা হতো দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায়। প্রতিদিন এগুলি নিয়ে যান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মাধ্যমে তা চলে যেত খুচরো দোকানে। দাম কম হওয়ায় ফাস্টফুডের দোকানিরা এই তেল কিনে নিয়ে যান বলে তদন্তে উঠে এসেছে।