চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
নাগেরবাজার মোড়ে পুরসভার অফিসের সামনে চায়ের দোকানে বসেছিলেন কয়েকজন মাঝবয়সী। তখন বেআইনি পার্কিং প্লেস পরিদর্শন করে পুরসভায় সদ্য ঢুকছে বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সিআইসিদের গাড়ি। গাড়ি দেখেই এক ব্যক্তি বলে উঠলেন, ‘প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নাম সিবিআই চার্জশিটে এসেছে শুনলাম। এটা তো সত্যিই যে, অবৈধভাবে প্রচুর চাকরি হয়েছে। ভাবা যায়। ঘরের যোগ্য ছেলেমেয়েগুলো বসে আছে। আর ঘুরপথে এরা লোক ঢুকিয়েছে।’ পাশের ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাধা দিলেন। তিনি বলেন, ‘বাম জমানার নিয়োগেও রাজনৈতিক পক্ষপাত ছিল। এরাও কিছু ছেলেকে কাজে ঢুকিয়েছে। এলাকার ছেলেরাই কাজ পেয়েছে কিন্তু। তবে পদ্ধতি মেনে কাজে নিলে এই বিপদ হতো না।’ আর একজন বলেন, ‘পাঁচুবাবুকে দিয়ে এসব করানো হয়েছিল। রাঘব বোয়ালরা মাথার উপর থাকলেও আড়ালে থেকে গিয়েছে।’ চায়ের দোকান শুধু নয়, পুরসভার অফিসেও একই বিতর্ক। সাফাই বিভাগের একজন তাঁর সহকর্মীকে বলেন, ‘পাঁচুবাবুর মতো লোক ফেঁসে গিয়েছে। বাকিদেরও ডাক পড়ল বলে।’ তখন পরিষেবা নিতে এসেছিলেন কয়েকজন। তাঁদের দেখে আলোচনা বন্ধ করে দিলেন দু’জন। সাতগাছি মোড়ের এক চায়ের দোকানেও আলোচনার বিষয়বস্তু সিবিআই চার্জশিট। এক প্রবীণ বলেন, ‘করোনার সময় আমরা কী খাবো, বাড়ির ছেলে বেঙ্গালুরু থেকে কিভাবে ফিরবে তা নিয়ে যখন চিন্তার মধ্যে ছিলাম, তখন গোপনে ২৯জনকে যোগদীন করাল পুরসভায়। কেন এমন হল? যোগ্যতা যদি মাপকাঠি হয়, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরাও এখানে চাকরি পেতে পারত।’ ‘যে যায় লঙ্কায় সেই রাবণ হয়’-বলে কটাক্ষ করলেন পাশে বসা অন্য একজন। আর একজন বলেন, ‘পাঁচুবাবু দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র সাজতে গিয়ে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করা এত শিক্ষিত মানুষও এই চক্র থেকে বের হতে পারলেন না। খারাপ লাগে ওঁর জন্য।’ এমন নানা আলোচনায় দিনভর উত্তপ্ত রইল দমদম। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের কোনও নেতা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।