চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
সম্প্রতি ওই ব্যবসায়ী প্রতিকার চেয়ে কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তপসিয়া থানার এই বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ পুলিস কমিশনার, ডিসি (এসইডি) ভোলানাথ পাণ্ডের কাছে এনিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে কলকাতা পুলিসের এক বিশেষ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
মনিশঙ্কর রায় নামে ওই ব্যবসায়ী তাঁর লিখিত অভিযোগে পুলিস কমিশনারকে জানিয়েছেন, ‘১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ১২-১৩ জনের পুলিসের একটি দল মেট্রোপলিটনের অফিসে হানা দিয়ে আমাকে জোর করে ভ্যানে তুলে প্রথমে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যায়। সেখানে এক ঘণ্টা আটকে রাখার পর তপসিয়া থানায় নিয়ে যায়।
তপসিয়া থানায় আসার পর এসআই রাহুলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারের পূর্ণিয়ার ব্যবসায়ী সঞ্জয়কুমার কেডিয়াকে ১ কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে চাপ দেন মণিশঙ্কর রায়কে। তাঁর অভিযোগ, ‘টাকা মেটাতে পারব না জানালে, আমাকে মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন ওই অফিসার। এরপর আমাকে দিয়ে জোর করে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়। শেষে প্রবল চাপের মুখে আরটিজিএস করে সঞ্জয়কুমার কেডিয়াকে ১ কোটি টাকা এবং তপসিয়া থানার পুলিসকে নগদ ১৫ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর রাত আড়াইটে নাগাদ থানা থেকে ছাড়া পাই। তবে তার আগে আমাকে দিয়ে একগুচ্ছ কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।’
ঘটনার সূত্রপাত, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল। বিহারের পূর্ণিয়ার সংস্থা কেডিয়া ব্রাদার্স তপসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ফুড সাপ্লাই কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার এজেন্ট পরিচয় দেওয়া কলকাতার মেট্রোপলিটন এলাকার সংস্থা রায় অ্যাগ্রোভেট প্রাইভেট লিমিটেডকে তাঁরা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভুট্টা সরবরাহ করেছিলেন। কিন্তু এখন দাম বাবদ প্রাপ্য ৯৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা মেটাচ্ছে না ওই সংস্থা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ মে তপসিয়া থানা অভিযুক্ত রায় এগ্রোভেট সংস্থার কর্তা মনিশঙ্কর রায় সহ বাকিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, অপারাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে
তদন্তে নামে।
তপসিয়া থানার এই ‘অতি সক্রিয়তা’য় কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে লালবাজারের অন্দরে। পুলিসের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, বড়সড় কারও মদত ছাড়া আদালতের অজান্তে ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের নামে থানায় তুলে এনে চাপ দিয়ে টাকা আদায়, একজন সাধারণ এসআই
আদৌও করতে পারেন কি? এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে অভিযুক্ত এসআই রাহুলদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমায় কেউ জানায়নি। উনি যখন অভিযোগ করেছেন তখন নিশ্চয় সিনিয়াররা তদন্ত করবেন।’ তবে কলকাতা পুলিসের ডিসি (এসইডি) ভোলানাথ পাণ্ডেকে ফোন করা হলে, ‘তিনি বলেন এনকোয়ারি চলছে। এনকোয়ারিতে যা বের হবে, সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’