চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষা শুরুর আগেই ডেঙ্গুর মাথাচাড়া দিয়েছে। এটাই প্রতি বছরের কার্যত রুটিন চিত্র! এক্ষেত্রে যতটা উদ্যোগ আগে নেওয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্যদপ্তরের, ততটা তারা নেয়নি। ফলে ডেঙ্গু ডানা মেলতে শুরু করেছে। এবার বৃষ্টি নামার পর তৎপর হয়েছে তারা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা জল নিষ্কাশনের ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি। গতবারের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ডেঙ্গু মোকাবিলায় রণকৌশল বদলেছে জেলা প্রশাসন। প্রতি বছরই এই কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরকে ‘বাধা’ পেতে হয় বলে অভিযোগ। রেল, মেট্রো কিংবা বন্ধ কারখানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে সাময়িক সমস্যার সমুখীন হতে হয়। এবার তা আগেভাগে নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন রেল, বন্ধ কারখানার মালিক, মেট্রো ও বাছাই করা কয়েকটি পুরসভার কর্তারা। বৈঠকে জেলাশাসক ডেঙ্গু মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। এই টিমের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবেন। পরিদর্শন করার পর সেই রিপোর্ট জমা পড়বে স্বাস্থ্যদপ্তরে। তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর ডেঙ্গু মোকাবিলায় একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছে। সেইমতো প্রতিটি শহর বা গ্রামীণ এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। কোথাও যাতে জল না জমে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। বারাসত স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সমুদ্র সেনগুপ্ত বলেন, কী কী করণীয়, এই বৈঠক থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় রেল, বন্ধ কারখানা, বিভিন্ন পুর এলাকা ও বিমানবন্দর লাগোয়া অংশে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই সব এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বর্ষায় ডেঙ্গু যথেষ্ট চিন্তা বাড়িয়েছিল জেলা প্রশাসনের। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল। চলতি বছর এখনও অবধি প্রায় ২০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন জেলায়। তাই, মশাবাহিত এই রোগকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না প্রশাসন।