চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে হস্টেলের যে নিরাপত্তারক্ষীর কথা ধৃতরা জানিয়েছিল, তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। ওই নিরাপত্তারক্ষী সরকারিভাবে হস্টেলের সঙ্গে জড়িতই নন। কেন পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হল? ধৃত ছাত্রদের কাছে তা জানতে চান তদন্তকারী। সেই জেরার সূত্রেই বেরিয়ে আসে হস্টেলে প্রাক্তনীদের দৌরাত্ম্যের প্রসঙ্গ। গণপিটুনিতে খুনের মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে। বউবাজারের উদয়ন হস্টেলে ছাত্রদের কোনও স্থায়ী সংখ্যা ছিল না। কোনও সপ্তাহে সেখানে থাকতেন ২৫ জন, আবার কোনও কোনও সপ্তাহে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি ছাত্র সেখানে বসবাস করতেন। হস্টেল সুপার শতদীপ বিশ্বাসের কাছ থেকে শেষ তিনমাসের তালিকা চেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ছাত্ররা কার অনুমতিতে হস্টেলে যাওয়া-আসা করত? কেন তাঁরাই হস্টেলের সর্বেসর্বা? সুপার সবটা জানতেন কি না, সমস্ত কিছুই তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিস। অপরদিকে ধৃত ১৪ জন আবাসিককে আলাদা আলাদাভাবে জেরা করেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বর্তমানে হস্টেলের ‘হোতা’ ছিলেন মূলত তিনজন। দুই প্রাক্তনী দুধকুমার মণ্ডল, শঙ্কর বর্মন ও বর্তমান ছাত্র পবিত্র মুর্মু। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে ১৪ জন ছাড়াও আরও দু’জন বর্তমান ছাত্রের যোগ মিলেছে। তারা পলাতক। তবে ঘটনার দিন এই ১৬ জন ছাড়া আরও ১৩-১৪ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে হস্টেলের রেজিস্টারে তাঁদের কোনও নাম নেই। তা থেকেই তদন্তকারীরা কার্যত নিশ্চিত, তাঁরা বহিরাগত। জেরায় গোয়েন্দারা জেনেছেন, সেই ১৩-১৪ জন ছাত্র প্রাক্তনী। তাঁদের খোঁজে নেমেছে কলকাতা পুলিস।
এদিকে, এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল কলকাতা পুলিস। ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এই ‘সিট’ গঠন করেছেন। তবে সেখানে সিটে গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার বিশেষজ্ঞ অফিসারদের কাউকেই রাখা হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পুলিসের অন্দরেই। কারণ, সিটের সদস্যদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যাঁর হোমিসাইড শাখায় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যদিও সিট গঠনের লিখিত আদেশে ডিসি (সেন্ট্রাল) জানিয়েছেন, ‘তদন্তের স্বার্থে সিট চাইলে, যে কোনও পুলিস অফিসারের সাহায্য নিতে পারবে।’