চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
১১ জুন ডোমজুড়ের ফোকর দোকান এলাকায় একটি স্বর্ণ বিপণিতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রানীগঞ্জের পর একই কায়দায় এই ডাকাতিতেও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুট করা হয়েছিল দোকান। কোটি কোটি টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে দুটি বাইকে চার দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল ওই সোনার দোকানটিতে। তারপর সরাসরি বিহারে পালায় তারা। ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে গ্যাংস্টার তথা জুয়েল থিফ সুবোধ সিংয়ের সংস্রবের বিষয়টিও সামনে আসে। দিনে দুপুরে জনবহুল এলাকায় সেই ডাকাতির ঘটনা সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে। আপাতত এই ঘটনার তদন্ত করছে ডোমজুড় থানা এবং হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ দল। তদন্তে নেমে এবার এক মহিলার যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বলা ভালো, এই ডাকাতির পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই রহস্যময়ী। ইতিমধ্যেই তাকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
কী ছিল এই মহিলার ভূমিকা? রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, ডাকাতির প্রায় মাস দুয়েক আগে নিজের পুরুষ সঙ্গী রাহুলকে নিয়ে বিহার থেকে ডোমজুড়ে এসেছিল ওই তরুণী। ক্রেতা সেজে ‘টার্গেট’ দোকানটিতে ঢুকেছিল তারা। সেখানে বেশ মোটা টাকার কেনাকাটিও করে। আর তার মাঝেই প্রয়োজনীয় রেকি করে ফেলা হয় মূল অপারেশনের। দোকানের পুরনো ফুটেজ দেখে ক্রেতা সেজে আসা ওই তরুণী ও তার পুরুষ সঙ্গীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এই পর্যায়ে প্রায় আড়াই মাসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। তাতেই পুরুষ সঙ্গীকে প্রথমে চিহ্নিত করে পুলিস। ডাকাতির দিনেও চার সদস্যের দুষ্কৃতী দলেই ছিল রাহুল। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এই তরুণীই ডাকাতদলটিকে বাংলায় পাঠানোর প্রায় সবরকম ব্যবস্থা করেছিল। বিহার থেকেই ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনায় তার সক্রিয়তা নজরে এসেছে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা ছিল ‘আফটার ক্রাইম’ বা ডাকাতির পরবর্তী পর্যায়ে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ডাকাতির পর লুটের মাল অন্য হাতে বিহারে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে ছিল খালি হাতে। যাতে ধরা পড়লেও, লুটের মাল সুরক্ষিত থাকে। সেই মালপত্রই বিহারে বসে ‘রিসিভ’ করেছিল এই তরুণী। একইসঙ্গে চার দুষ্কৃতী বিহারে পৌঁছে যাওয়ার পর তাদের প্রয়োজনীয় ‘শেল্টার’ দিয়ে সহযোগিতাও করেছিল সে। দুষ্কৃতীদের আত্মগোপনে কী কী সহযোগিতা ছিল ওই তরুণীর? আপাতত তদন্ত এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মধ্যে এক কর্তার দাবি, আমরা ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। আশা করছি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, ডোমজুড় ডাকাতির ঘটনায় কাঙ্খিত যবনিকা পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।