কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
দীঘা, দার্জিলিং, সুন্দরবন ছাড়াও বাংলার পর্যটন শিল্পের মানচিত্রে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছে ঝাড়গ্রাম। অরণ্য সুন্দরী এই ঝাড়গ্রামে ১২ মাস ধরে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। পর্যটকদের কাছে ঝাড়গ্রামের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা। আগে তা ডিয়ার পার্ক নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণসার হরিণ, ময়ূর, ভাল্লুক, বাঁদর, চিতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ এবং বন্যপ্রাণীদের দেখা মিলেছে। এই চিড়িয়াখানাকে এবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্যের বনদপ্তর। কীভাবে সৌন্দর্যায়ন হবে, নতুন কী কী বন্যপ্রাণী এবং পশুপাখির দেখা মিলবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাতে অন্যতম সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, আপাতত একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হচ্ছে। পরবর্তী সময় সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীদেরও প্রবেশ ঘটতে চলেছে এই চিড়িয়াখানায়। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে পুজোকে মাথায় রেখে চিড়িয়াখানাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার। পুজোর ছুটির সময় মানুষ যাতে এখানে এসে আনন্দ পান। তবে বনদপ্তরের সামগ্রিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে, বনকর্মীদের হাতে যে সমস্ত বন্দুক আছে, সেগুলি মান্ধাতার আমলের। তার থেকে গুলি বের হয় না। অনেক সময় হিংস্র বন্যপ্রজাতির জীবজন্তুদের আক্রমণে বনকর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়, তাঁদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এই সমস্ত বন্দুক আধুনিক করার পরিকল্পনা নিয়েছে বনদপ্তর। কী ধরনের নতুন বন্দুক, কতগুলি আনা হবে, সে সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয়েছে।