নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারি নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর সোমবার থেকে নদী-নালায় মাছ ধরতে যাওয়ার কথা ছিল মৎস্যজীবীদের। কিন্তু ক্যানিং মহকুমা থেকে কেউই এদিন নৌকা নিয়ে নদীতে যাননি। তাঁদের সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ অধীনস্ত এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়ার কথা ছিল। ওই মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, টাইগার রিজার্ভের তরফে বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে এক বছরের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হতো। সেখানে এবার তারা ছ’মাসের জন্য তা দিচ্ছে। এদিন সকালে বিএলসি আনতে গেলে বেশ কিছু মৎস্যজীবীর এই বিষয়টি নজরে আসে। এই নিয়ম প্রত্যাহারের দাবিতে আর কোনও মৎস্যজীবী তা নিতে যাননি। উল্টে যতক্ষণ না এই বিএলসি এক বছরের জন্য দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ নদীতে মাছ ধরতে যাবেন না বলে ঠিক হয়েছে। সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত রায় বলেন, এতদিন ধরে টাইগার রিজার্ভ থেকে এক বছরের জন্য বিএলসি দেওয়া হতো। সেটা প্রতিবছর পুনর্নবীকরণ করতে হতো। কিন্তু এবারে এক বছরের বদলে সেটা কমিয়ে ছয় মাস করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই আমাদের আপত্তি। ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা আরও বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন করেছেন বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। কী ধরনের জাল ব্যবহার করা যাবে, সেটা যেমন বলে দেওয়া হয়েছে, তেমনই কোনও ধারালো অস্ত্র নৌকায় রাখা যাবে না বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের তোলা অভিযোগ নিয়ে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের একাধিক কর্তাকে ফোন করা হলে তাঁরা ধরেননি। মেসেজ করা হলেও মেলেনি উত্তর। তবে এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ আওতাধীন এলাকায় অবশ্য সুষ্ঠুভাবেই নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। আগামী বেশ কিছুদিন এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে।