সংবাদদাতা, বজবজ: কুষ্ঠ রোগ নির্মূল হয়েছে প্রশাসন এই দাবি জানিয়ে থাকে। তবে বাস্তবে দেখা গেল, মহেশতলা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬৪ জনেরও বেশি কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রাথমিক, ব্লক, মহকুমা সহ সবস্তরের চিকিৎসকদের সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এবার দু’দিনের কর্মশালারও আয়োজন করা হল টালিগঞ্জের এমআর বাঙুর জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকদের বলা হয়েছে, রোগী দেখার সময় এখন থেকে বিশেষভাবে কুষ্ঠ রোগের যে যে লক্ষণ আছে তার উপরও নজর রাখতে হবে। কোনও রোগীর শরীরে যদি কোনও দাগ দেখা যায়, তা পরীক্ষা করতে হবে। তারপর যদি দেহের সে অংশ অসাড় বলেন রোগী তাহলে কুষ্ঠ ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রোগীকে প্রথম দফায় টানা সাতদিন ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাহলে সংক্রমণ বাড়বে না। চিকিৎসকদের কর্মশালায় এই নিদান দেন এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, কুষ্ঠ রোগ অনেক প্রাচীন। এক সময় আমজনতার ধারণা ছিল পাপ ও শাপের কারণে কুষ্ঠ হয়। এই রোগ হলে কেউ লোকলজ্জার ভয়ে হাসপাতালে দেখাতেন না। কলকাতায় গিয়ে অনেকে লুকিয়ে হাসপাতালে দেখিয়ে আসতেন। অনেকে তাও করতেন না।