মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের জল হাইড্রেনের মাধ্যমে বিদ্যাধরী খাল ও পদ্মা খালে গিয়ে পড়ে। কিন্তু এই দুটি মজে যাওয়া খাল দিয়ে সঠিকভাবে জল বের হচ্ছে না। এছাড়া শহরের মধ্যে বিভিন্ন নিকাশি নালার অবস্থাও বেহাল। শহরের ভিতর প্রায় ১৫ কিমি লম্বা হাইড্রেন রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বাজার এলাকায় সেই হাইড্রেন দখল করে দোকান তৈরি করা হয়েছে। কোথাও আবার বাড়ির দেওয়াল তোলা হয়েছে হাইড্রেনের উপর। এর ফলে হাইড্রেনের ভিতর পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। হাইড্রেনের মধ্যে বিভিন্ন প্লাস্টিকের সামগ্রী ও নোংরাআবর্জনা ভরে থাকায় সঙ্কট আরও বাড়ছে। এছাড়া বহু এলাকায় এখনও পাকা ড্রেন তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে একটু বেশি বৃষ্টি হলে কার্যত বানভাসি হতে হচ্ছে বিভিন্ন নিচু এলাকার বাসিন্দাদের। প্রত্যেক বছর বর্ষার সময় শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি, নবজীবনপল্লি, ২০নম্বর ওয়ার্ডের আশরফাবাদ এজি কলোনি, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমলক্ষ্মী কলোনি, বাইগাছি শক্তিনগর, আদর্শপল্লি, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোমিনপুর, রবীন্দ্রপল্লি ও জোড়াপুকুর ছাড়াও শহরের ৯ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। বেশি বর্ষা হলে শ্রমলক্ষ্মী কালোনির বহু বাসিন্দাকে ঘরছাড়া হয়ে স্থানীয় স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিতে হয়। শহরের মানিকনগর এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ। এখানে হাইড্রেন শেষ হয়েছে। সঠিকভাবে ড্রেনের জল না বের হওয়ার জন্য এই এলাকার বাড়িঘর সব সময় স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। মশার উপদ্রবও মারাত্মক রয়েছে। এমনকী সামান্য বর্ষায় শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গোলবাজার এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। একইভাবে গণেশ ভান্ডার বাজার, স্টেশন বাজার ও কল্যানগড় বাজারেও জল জমে যায়। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবিলম্বে শহরের হাইড্রেন দখলমুক্ত করে আবর্জনা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এছাড়া শহরের অন্যান্য ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি বিদ্যাধরীর শাখা খাল সংস্কার করা দরকার।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, হাইড্রেন দখলের সমস্যা বহু বছর ধরে রয়েছে। তবে হাইড্রেন সহ অন্যান্য ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু বিস্তীর্ণ এলাকার জল বের করার জন্য নতুন করে হাইড্রেন করা প্রয়োজন। সেকারণে, পুরসভা এলাকার সম্পূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করার জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ওই প্রকল্প পাঠানো হলেও তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।