মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
হাওড়া শহরে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁদের সকলেরই চোখে পড়ে বেহাল বাসস্ট্যান্ডগুলি। বেলুড় স্টেশন রোড এবং জি টি রোডের সংযোগস্থলের কাছে, গিরীশ ঘোষ রোড, লিলুয়া স্টেশন রোড, সালকিয়া স্কুল রোডে একের পর এক যাত্রী প্রতীক্ষালয় এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লিলুয়া স্টেশন রোডে একটি ভাঙাচোরা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, বছর দু’য়েক আগে ঘটা করে এই প্রতীক্ষালয় উদ্বোধন করা হয়েছিল। স্থানীয় কাউন্সিলারই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারপর এসবের দিকে কারও নজর নেই। হাওড়া ময়দানে বঙ্গবাসী মোড় থেকে নেতাজি সুভাষ রোড ধরে কিছুটা গেলে এমনই একটি ভাঙাচোরা প্রতীক্ষালয় চোখে পড়বে। এখানকার এক দোকানির কথায়, ঝড়ের দিন স্ট্যান্ডের ছাউনি উড়ে গেল। ভাঙাচোরা ও অপরিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও এই প্রতীক্ষালয়ে মাথার উপর ছাউনি ছিল বলে এতদিন যাত্রীরা দাঁড়াতেন। কিন্তু এখন আর ওই বাসস্ট্যান্ডে কেউ দাঁড়ান না। কেউ সারানোর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতেও আসেননি।
বাসস্ট্যান্ডগুলির হাল যে খারাপ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এগুলি তৈরির জন্য আমার এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হলেও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হাওড়া পুরসভা ও হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে হাওড়ায় কোনও নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকায় এগুলি ঠিকমতো দেখভাল যে হচ্ছে না, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন প্রসূনবাবু। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর কয়েকটি প্রতীক্ষালয় একেবারে ভেঙেচুরে গিয়েছে। বাসস্ট্যান্ডগুলির হাল ফেরাতে তিনি ইতিমধ্যে পুরসভা এবং ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছেন। - নিজস্ব চিত্র