মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত শহরের তিতুমির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন সাড়ে ছ’শোর বেশি বাস চলাচল করে। এছাড়া, ডব্লুবিটিসির ডিপোও রয়েছে বারাসতে। রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কমবেশি ১৬০টি বাস প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে দিনরাত কয়েকশো বাস উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যায়। এছাড়া কয়েকশো অটো ও টোটো প্রতিদিন শহরের ভিতর যাতায়াত করে। সব মিলিয়ে রোজ লক্ষাধিক মানুষ বারাসত দিয়ে যাতায়াত করলেও শহরে কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই। রাস্তার উপর দাঁড়িয়েই বাস ও অটো ধরতে হয় শহরবাসীকে।
শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়। এখানে যশোর রোড ও টাকি রোডের সমস্ত গাড়ি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে কোনও যাত্রী শেড নেই। ডাকবাংলো মোড়ের তিনটি জায়গা থেকে বাস ও অটো ধরার জন্য দাঁড়াতে হয়। ওই তিনটি জায়গাতেই দ্রুত যাত্রী প্রতীক্ষালয় প্রয়োজন। এছাড়া শহরের কলোনি মোড়ে উত্তরবঙ্গের বাস ধরার জন্য প্রচুর যাত্রী অপেক্ষা করেন। এই মোড়েও দুটি জায়গায় যাত্রী প্রতীক্ষালয় প্রয়োজন। এছাড়া শহরের ব্যস্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত চাঁপাডালি মোড়ে যশোর রোড ও টাকি রোড মিশেছে। অথচ এমন গুরত্বপূর্ণ জায়গায় কোনও যাত্রীদের দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। একইভাবে দক্ষিণপাড়া মোড়, শ্বেতপুকুর, হেলাবটতলা এলাকায় কোনও ছাউনি নেই।
একাধিক নিত্যযাত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, ফুটপাত ও রাস্তার ধারে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বাস ধরতে হয়। কোথাও তো রাস্তাতেই দাঁড়াতে হয়। তারপর বৃষ্টি নামলে দোকানে ওঠা ছাড়া গতি থাকে না। গরম ও বর্ষার সময় বয়স্ক ও মহিলাদের চরম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। গত কয়েক দশকে বারাসতের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও নিত্যযাত্রীদের ভাগ্যের বদল হয়নি।
বারাসত পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা বহুবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু জায়গার সমস্যার জন্য করতে পারিনি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করায় সেখানেও করা যায়নি। তা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।