মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কামারহাটির প্রশাসক গোপাল সাহার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনেই এই জলপ্রকল্প। তিনি বলেন, আগে মানুষের জীবন, তারপর বিনোদন। করোনা বিদায় করাই এখন মূল লক্ষ্য। তবে চড়ুইভাতি হওয়ায় ওই জায়গা থেকে বেশ কিছু টাকা আয় হতো, সেটা এবার হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এটা তো চিন্তার বিষয়।
প্লটগুলিতে রয়েছে ছাউনি দেওয়া বসার ও রান্নার জন্য একটি করে জায়গা, শৌচাগার। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বছর কয়েক আগে ওই ঘরগুলির দেওয়ালের রং ফিকে হয়ে যায়, কয়েক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়ছিল। ছিল চার দিকে আগাছার জঙ্গল। কিন্তু, দু’টি পুরসভার কর্তারাই বুঝতে পারেন, কলকাতার উপকণ্ঠে এত সুন্দর পিকনিকের জায়গা প্রায় পাওয়াই যাবে না। এরপরই ফাঁকা অংশ সংস্কার করে চড়ুইভাতির জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা হয়। বরানগর পুরসভার এক কর্তার কথায়, প্রতিবছর যে টাকা আয় হয়, তা দু’টি পুর প্রশাসনের কাছে ৭-৫ অনুপাতে বণ্টন হয়ে যেত। কিন্তু এবার যে বিপর্যয় হয়েছে, তাতে ওই পাঁচিল মেরামত করতে, গাছের ডালপালা ভেঙে পরিষ্কার করা বা পুনঃস্থাপন করতে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকা বেরিয়ে যাবে। যা কোভিড পরিস্থিতি এবং অর্থসঙ্কটের মধ্যে করা সম্ভব নয়। পুরকর্তাদের কথায়, দু’টি পুরসভার এমনিতেই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত অনেক টাকাই প্রাপ্য। সেই টাকা পেতেই কালঘাম ছুটছে, সেখানে শুধুমাত্র প্রকল্পের পাঁচিল ও গাছ মেরামতের জন্য এখনই এত টাকা চাওয়া যাবে না বলেই তাঁরা মনে করেন।