মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এছাড়া মধ্যমগ্রামে দোলতলা পুলিস লাইনের তিন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমায় উত্তরোত্তর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতে জেলাশাসক অফিস লাগোয়া এলাকায় রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে। তাতে ডিআইজিআর (রেঞ্জ২), ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার (উত্তর ২৪ পরগনা), ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার (১, ২ ও ৩) অফিস ছাড়াও অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার (বারাসত) অফিস রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা রেজিস্ট্রারের করোনা ধরা পড়ার খবর আসতেই কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও গত মঙ্গলবার তিনি শেষ অফিস করেছিলেন। এরপর শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর অফিসে আসেননি। তবে তাঁর অফিসের তিন কর্মীর জ্বর, সর্দি ও কাশির উপসর্গ রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়নি। তাঁরা সকলেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আচমকা রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বহু মানুষকে এদিন ফিরে যেতে হয়।
অন্যদিকে, দোলতলা পুলিস লাইনের দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একজনের শরীরে তেমন কোনও সমস্যা না-থাকায় তিনি বাড়িতে রয়েছেন। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিস লাইনের পাশাপাশি জেলা পুলিস সুপারের অফিস ও বিভিন্ন থানা নিয়মিত জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় পুলিস অনেকটাই শক্ত হাতে রাশ ধরতে শুরু করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমায় রাস্তার ধারের সমস্ত খাবার দোকান ও চায়ের দোকানে গিয়ে ভিড় হটিয়ে দেয় পুলিস। মাস্ক না-পরে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে সচেতন করার কাজও করা হয়েছে। এদিন বেশ কয়েকটি দোকান বন্ধও করে দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহে মধ্যমগ্রাম, বারাসত সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের অনুষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার মাস্ক বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।