মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
গত মরশুমেও যাদবপুর, গড়ফা, সার্ভে পার্ক এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ভালোমতো ছিল। অথচ, জলাশয়টি দিনে দিনে রোগবাহী মশার সংসার হয়ে উঠেছে। তা জেনেশুনেও কলকাতা পুর প্রশাসনের তরফে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না, সেটা নিয়েই বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা বলেন, দুর্গন্ধে বসবাস করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার মধ্যে ওই পুকুরের অদূরেই বিবেকনগর ঝিল। অথচ, সেই ঝিল বাঁধানো অবস্থায় রয়েছে। এমনকী রক্ষণাবেক্ষণ হওয়ায় যথেষ্ট মনোরম পরিবেশ হয়ে রয়েছে আশপাশের এলাকা। কিন্তু সেই অবস্থা কেন এলাকার মধ্যে থাকা এই জলাশয়টির হল না, সেটা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ তাঁদের মধ্যে।
রবিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পুকুরটি পাঁকে ভরে গিয়েছে। চারপাশে জংলা আগাছা। পুকুরের মধ্যে আবর্জনা বলতে কী নেই! কাঁচা সব্জির খোসা থেকে ভাঙা বালতি, ভাঙা চেয়ারের অংশবিশেষ— প্রায় সবকিছুই। এরই মধ্যে একজন ভ্যান এনে কোনও বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীর আবর্জনা বস্তা করে জলের মধ্যে ফেলে দিলেন। আবার একজন বাড়ির বালতির আবর্জনাও ‘জলাঞ্জলি’ দিলেন। লাগোয়া একটি বাড়ির বাসিন্দা বললেন, ধীরে ধীরে আবর্জনা পড়ে পুকুরটি ভরাট হয়ে যাবে। প্রোমোটাররা তো লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে বসেই রয়েছে। তিনি এও বলেন, পুর প্রশাসন সব জেনেশুনে চুপ। ফলে মশার দাপট ভয়ঙ্কর আকারে বেড়েছে। রাতে তো জানালা-দরজা খোলা যায় না। বাড়ির পাশে ওই পুকুরটি এখন এলাকার অস্থায়ী ভ্যাটের চেহারা নিয়েছে। বিবেকনগর ঝিল লাগোয়া পাড়ে বসে এক প্রৌঢ়ও বললেন, রাজনৈতিক কারণেই ওই ঝিলটি পরিষ্কার করা হচ্ছে না। কারণ, ঝিলটি বুজিয়ে ফেললেই তো লাভ!