কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
কামালগাজি বাইপাসের উপর বিলাসবহুল আবাসনের বাসিন্দা অভিষেক মুখোপাধ্যায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছাড়াও বড় অঙ্কের লোন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেন। অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, অপহরণকারীরা অনেক আগে থেকেই অভিষেক সম্পর্কে এই সব তথ্য জোগাড় করে রেখেছিল। কিন্তু তা কখনও প্রকাশ করেনি। শুধু তাই নয়, একেবারে অভিনব কায়দায় এই অপারেশনটা হয়েছিল। যা কোনওভাবে বুঝতে পারেননি অভিষেক। অপহরণকারীরা মোটা অঙ্কের লোনের টাকা পাইয়ের দেওয়ার টোপ দিয়েছিল রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ীর কাছে। সেই টোপে পা দিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি ধর্মতলার একটি বেসরকারি হোটেলে যান। সেখানে অপহরণকারী অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা, পার্থ ও বিশ্বজিৎরা ছিল। এছাড়া অভি ও রঞ্জন নামে দু’জন বাউন্সারকে আনা হয়েছিল। অভিষেক বল্লভ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। এরপর অভিষেক মুখোপাধ্যায় লোনের টাকার বিষয়টি নিয়ে ছলচাতুরি করেছেন, অভিযোগ তুলে মূল অভিযুক্ত ধমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি সংবাদপত্রে প্রকাশ করে দেবেন বলে শাসানো হয়। পরে রীতিমতো চাপ দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে প্রেস লেখা গাড়িতে তুলে ডানকুনি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে ১৩ তারিখ ডায়মন্ডহারবার নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, ছেলের কোনও সন্ধান না পেয়ে পুলিসের শরণাপন্ন হন অভিষেকের মা মনীষা মুখোপাধ্যায়। পুলিসের কাছে এ নিয়ে তিনি ১৩ তারিখ অভিযোগ করেন। এরমধ্যে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে মনীষা দেবীর কাছে। তিনি এদিন বলেন, কয়েকমাস আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। তারপর একমাত্র ছেলেকে এভাবে অপহরণ করায়, খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আতঙ্কে কয়েকদিন ঘুমোতে পারিনি। তিনি স্বীকার করেন, পুলিস এভাবে সহযোগিতা করবে তা আশা করেননি। কিন্তু অভিযোগ করার পর থেকে প্রতি মুহূর্তে পুলিস প্রতিনিয়ত তাঁদের গার্ড করেছে। শুধু তাই নয়, শনিবার অপহরণকারীদের ডেরা থেকে ছেলেকে উদ্ধার এতটাই নিখুঁতভাবে করেছে, যা কখনই ভাবতে পারেননি।