বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
শিকড় ও মাটির সংযোগস্থলে তুলোর মতো এবং সর্ষে দানার মতো দেখতে পাওয়া যায়। গাছ তুললে দেখা যায় শিকড় পচে গিয়েছে। কৃষিবিদদের সুপারিশ মতো এই রোগের প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিও ভাইরাসঘটিত রোগ। মাটিতে যদি ওই রোগের জীবাণুর উপস্থিতি থাকে এবং মাটিতে রস বেশি থাকলে রোগ দ্রুত ছড়ায়। প্রতিকার হিসেবে থায়োফেনেট মিথাইল ৭০ শতাংশ ১ গ্রাম ও ক্লোরোথ্যালোনিল ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম মাত্রায় ১ লিটার জলে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছের গোড়ায় ও তার আশপাশে প্রয়োগ করতে হবে। চিনাবাদাম গাছের বয়স ৫০-৫৫ দিন হলে ছত্রাকঘটিত টিক্কা রোগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে।
জলদি টিক্কা আবার নাবি টিক্কা হতে পারে। অর্থাৎ রোগের উপসর্গ নির্দিষ্ট সময়ের আগেও দেখা দিতে পারে আবার পরেও দেখা দিতে পারে। এই রোগের আক্রমণে পাতায় বাদামি টিপের মতো দাগ দেখা যায় প্রথমে। পরে একটার সঙ্গে একটা দাগ মিশে গিয়ে বড় হতে থাকে। আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে যায়। গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু পাতা নষ্ট হয়ে যায়, ফলে গাছের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এই রোগের কারণে ফলন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মার খেতে পারে। প্রতিকার হিসেবে ম্যানকোজেব ৭৫ শতাংশ আড়াই গ্রাম ১ লিটার জলে গুলে বা কার্বেন্ডাজিম ৫০ শতাংশ ১ গ্রাম ১ লিটার জলে গুলে গাছে স্প্রে করা যেতে পারে। এর ১৫ দিন পর ক্লোরোথ্যালোনিল ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে প্রয়োগ করতে পারেন কৃষক।
কখনও চড়া রোদে কীটনাশক বা রোগনাশক প্রয়োগ করা উচিত নয়। বিকেলের দিকে ওষুধ দিতে পারলে সবথেকে ভালো। এপ্রিলের প্রথমে চিনাবাদাম বুনলে জুলাইয়ে ফসল উঠে যাবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে চিনাবাদাম চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য জাতের মধ্যে রয়েছে জেএল-২৪, টিএজি-২৪, একে-১২-২৪ প্রভৃতি।