ফ্র্যাঙ্কফুর্ট: প্রথম ফুটবলার হিসেবে ষষ্ঠবারের জন্য ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিনিধিত্ব করছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনল্ডো। গত পাঁচবারই গ্রুপ পর্বে অন্তত একবার হলেও প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তবে চলতি ইউরোতে এখনও গোলের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তাই নক-আউট লড়াইয়ের আগে বেশ চিন্তায় কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। সোমবার ইউরোর প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে ধারেভারে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে ২০১৬ চ্যাম্পিয়নরা। তবে এই ম্যাচে প্রতিপক্ষের চেয়েও পর্তুগাল শিবিরে অনেক বেশি চর্চায় রোনাল্ডোর অফ ফর্ম। দু’বছর আগে কাতার বিশ্বকাপেও খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন সিআরসেভেন। টুর্নামেন্টের প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে ছাড়াই দল সাজিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল। হ্যাটট্রিকে ভরসা জুগিয়েছিলেন গনসালো র্যামোস। মার্তিনেজ অবশ্য এমন দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করবেন না। রোনাল্ডোকে সামনে রেখেই শেষ আটের টিকিট অর্জনের লক্ষ্যে দল মাঠে নামাতে চলেছেন পর্তুগিজ কোচ।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নক-আউটের টিকিট পাকা করায় জর্জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক পরিবর্তনের পথে হেঁটেছিলেন কোচ মার্তিনেজ। তবে ম্যাচ হেরে তার খেসারত গুণতে হয়েছিল তাঁকে। তাই স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তির দল সাজাতে চলেছেন পর্তুগিজ কোচ। ফিরছেন বের্নার্দো সিলভা, ভিতিনহা, হোয়াও কানসেলো। এছাড়া রক্ষণে ভরাসা জোগাতে তৈরি অভিজ্ঞ পেপে। জর্জিয়ার বিরুদ্ধে পর্তুগাল ডিফেন্সেকে বারবার কাঁপতে দেখা গিয়েছিল। নক-আউট পর্বে অবশ্য এই জায়গাটা উন্নতি করাই লক্ষ্য কোচ মার্তিনেজের।
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ড্র করেছে স্লোভেনিয়া। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকেও রুখে দেয় তারা। তবে পর্তুগালের বিরুদ্ধে লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা ভালোই জানেন কোচ মাতেজ কেক। তাঁরা যদিও বিনা যুদ্ধে রোনাল্ডোদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ।