কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
টাইম মেশিনে সাত মাস আগে ফেরা যাক। মোতেরায় ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালের পর চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত। তবে সেটা অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের কান্না ছিল। এদিন বার্বাডোজে সেই আক্ষেপ মিটল। ড্রেসিং-রুমে ফেরার পথে বহু লড়াইয়ের সঙ্গী বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরে আবেগে ভাসলেন রোহিত। ততক্ষণে স্বামীর আনন্দে সামিল হতে ডাগ-আউটে হাজির স্ত্রী ঋত্বিকা। স্বামীর আনন্দাশ্রু মুছিয়ে দিলেন তিনি। সেই মুহূর্ত বন্দি হল ক্যামেরায়। ট্রফি হাতে তোলার আগে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটা শুধু আজকের ম্যাচের জন্য নয়, গত তিন-চার বছরের পরিশ্রমের ফল। দীর্ঘদিনের আক্ষেপ মিটল।’
সেমি-ফাইনালে জয়ের পর রোহিত বলেছিলেন, ‘ফাইনালের জন্য সেরাটা তুলে রেখেছে বিরাট।’ সেটা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। ফাইনালে বিরাটের ব্যাটে লেখা হল ভারতের জয়গাথা। এদিন হাসিমুখে রোহিত শোনালেন, ‘তারকারা চূড়ান্ত মঞ্চেই জ্বলে ওঠে। ফাইনালে বিরাট তা আবার দেখিয়ে দিল। ও একপ্রান্তে ধরে না থাকলে মুশকিল হতো। একইসঙ্গে যশপ্রীত বুমরাহের জন্যও কোনও প্রশংসা যথেষ্ট নয়। হার্দিকের বোলিং ও সূর্যর ক্যাচের কথাও বলতে হবে।’ বক্তব্য শেষ করেই রোহিত ছুটলেন মহার্ঘ কাপ হাতে তুলতে। সতীর্থদের সঙ্গে ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনের পর মেয়েকে কাঁধে বসিয়ে চলল মাঠ পরিক্রমা। আর শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর ঘোষণা, ‘এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসরের এটাই সঠিক সময়।’
টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের খতিয়ান
১৯৮৩ ওডিআই বিশ্বকাপ
ভারত ১৮৩
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪০
ভারত ৪৩ রানে জয়ী
অধিনায়ক কপিল দে
২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ
শ্রীলঙ্কা ২৭৪-৬
ভারত ২৭৭-৪
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি
২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ
ভারত ১৫৭-৫ পাকিস্তান১৫২
ভারত ৫ উইকেটে জয়ী
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি
২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
শ্রীলঙ্কা ২২২-৭
ভারত ৩৮-১
বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত, ভারত ও শ্রীলঙ্কা যুগ্মজয়ী
অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি
২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ভারত ১২৯-৭
ইংল্যান্ড ১২৪-৮
ভারত ৫ রানে জয়ী
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি