সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
আইএম বিজয়ন, বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় ফুটবলের তিন সেরা স্ট্রাইকারকে সামনে থেকে দেখেছি। অনেকেই প্রশ্ন করেন, এদের মধ্যে সেরা কে? এই তুলনা অর্থহীন। বাইচুং ছয় গজের বক্সে রাজা। গোলের জন্য বিপক্ষের বুটের সামনে ডাইভ দিতে প্রস্তুত। আবার মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে ওস্তাদ বিজয়ন। কর্নার, ফ্রি-কিক থেকেও অসংখ্য লক্ষ্যভেদ রয়েছে। অসম্ভব স্কিলফুল। আর সুনীলের পছন্দ অন্যভাবে অপারেট করা। উইথড্রন স্ট্রাইকারের ভূমিকায় সাবলীল। ছোট্ট চেহারা। তবু স্পটজাম্পে ছ’ফুটের ডিফেন্ডারকে টলিয়ে দিতে পারে। টেকনিক, কভারিং খুবই উন্নতমানের। সবচেয়ে বড় কথা হল, ওর ধারাবাহিকতা। টানা ১৯ বছর আন্তর্জতিক ফুটবলে খেলার মতো ফিটনেস ধরে রাখা চাট্টিখানি কথা নয়। দিনের পর দিন বিপক্ষ ডিফেন্ডারের কড়া ট্যাকল সামলেও গোল করেছে সুনীল। ইস্পাত কঠিন মানসিকতা ওর সম্পদ। পাশাপাশি ওর কেরিয়ারে সুখবিন্দার সিং ও বব হাউটনের অবদান স্বীকার করতেই হবে। আমার মতে, দু’জনেই সুনীলের নেপথ্য কারিগর। সুখি পাজি অভিভাবকের মতো শুরুর দিন থেকে আগলে রাখতেন সুনীলকে। পরে হাউটন স্যরেরও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল ওকে নিয়ে। ওর দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পাল্টে দেন তিনি। সুনীলের ফেয়ারওয়েল ম্যাচে ওঁরা উপস্থিত থাকলে দারুণ ব্যাপার হবে।
অনেকেই আশঙ্কায়, সুনীলের পর নম্বর নাইন কে হবে? একটা কথাই বলতে চাই, রাতারাতি ওর বিকল্প পাওয়া অসম্ভব। ফেডারেশনের উচিত বিদেশিহীন আই লিগ করা। ভারতীয় স্ট্রাইকার তুলে আনতে গেলে এছাড়া কোনও উপায় নেই।