উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে বোলপুর শহর এলাকার প্রধান সড়কে জবরদখল সরানোর কাজ শুরু করেছে পুরসভা। যা বুধবারও জারি রইল। এদিন শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন রোডের জবরদখল সরানোর কাজ হয়। পুরসভার বৈঠক সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সরকারি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির কাজে জোর দিতে হবে। সেজন্য মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির জমি জবরদখল হয়েছে কি না, তা ম্যাপের মাধ্যমে জমি জরিপ করে দেখা হবে। জমি চিহ্নিতকরণ ও সীমানা নির্ধারণ করার কাজে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সাহায্য নেওয়া হবে। ফুটপাত, সরকারি জায়গার পাশাপাশি পরবর্তীতে কোপাই ও সোনাঝুরি খোয়াই লাগোয়া যে সমস্ত রিসর্ট এবং অবৈধ নির্মাণ রয়েছে, সেগুলিও জরিপ করা হবে। কেউ দখল করে থাকলে দখলদারদের কাগজপত্র দেখানোর জন্য সাত থেকে ১০ দিন সময় দেওয়া হবে। জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে পরবর্তীতে জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে বন ও সেচদপ্তর।
বনদপ্তরের বোলপুর ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার জ্যোতিষ বর্মন বলেন, সোনাঝুরিপল্লির বনদপ্তরের জমিতে বেশকিছু রিসর্ট ও বাড়ি নির্মাণ করেছে বলে খোঁজ পেয়েছি। তারমধ্যে দু’টি রিসর্ট ও ছ’টি বাড়ি রয়েছে। তাদের বন সংরক্ষণ আইনের আওতায় গত ৩০জুন নোটিস করে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। সেখানে জমি দখলের বিষয়টি সামনে এলে আইন মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে সেচদপ্তরের পক্ষে ললিতবাবু বলেন, সীমানা নির্ধারণের জন্য ভূমি সংস্কার দপ্তরকে আর্জি জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে সোনাঝুরিপল্লি সহ বল্লভপুর, কবিমোহনপুর, খয়রাডিহি, মধুসূদনপুর, তালতোড় প্রভৃতি মৌজায় সেচের জমি খতিয়ে দেখা হবে। কেউ জবরদখল করলে প্রশাসনিক স্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।