উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
নলহাটি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৫৫৫ দাগে ৫১ শতক জায়গাজুড়ে সুবিশাল পুকুর। প্রাচীন এই পুকুরের জল এলাকার সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে আসছিলেন। এলাকার বহু পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতিমা এই পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। সম্প্রতি পুকুরের মালিক সেই পুকুর ভরাট করে নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম দিনেই পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে দালাল লাগিয়ে রাতদিন ভরাটের কাজ চলেছে। যার ফলে ৫১ শতকের পুকুর ৫ শতকে এসে থেকেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর শেখ, ফিরোজ শেখ, মেরিকা খাতুন, সাহেব শেখরা বলেন, দু’দিন আগে রাতে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। বলতে গেলে আমাদের একজনকে মারধর করা হয়। সকলের ব্যবহৃত পুকুর ভরাট হয়ে গেলে খুবই সমস্যায় পড়তে হবে। পুরসভার জলে তো আর সব কাজ হবে না। আমরা চাই পুকুর ভরাট বন্ধ করুক প্রশাসন।
যদিও পুকুরের মালিক মহম্মদ আলি বলেন, খুব একটা গর্ত ছিল না। তাই পুকুর কেটে গর্ত করে পাড়ে মাটি ফেলা হচ্ছে। আর সেই মাটি যাতে পড়ে না যায় সেজন্য পাকা গার্ডওয়াল দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা অবশ্য মালিকের কথা মানতে নারাজ।
এদিকে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংয়ের ওয়ার্ডে এই ভরাট চলায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। যদিও এদিন রাজেন্দ্রবাবুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি কলকাতায় রয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই পুরসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
অন্যদিকে বিএলএলআরও বলেন, আমি দু’দিন ছিলাম না। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরই আরআইকে দিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট করিয়েছি। এদিন পুলিসের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েছিলাম। একজন নিজেকে পুকুর মালিক বলে দাবি করেছেন। যিনি দাঁড়িয়ে থেকে ভরাটের কাজ করছিলেন, তাঁর নামে থানায় এফআইআর করছি। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে পুকুরটি পূর্রের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নোটিস করা হচ্ছে।