উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
শহরবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে রঘুনাথপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডকে সাজানোর নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বাসস্ট্যান্ড ঘিরে দেখা যায় অরাজকতা। ২০১৩ সালের পর থেকে বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সেই সময় বাস ও ছোট গাড়ির জন্য দু’টি আলাদা স্ট্যান্ড করা হয়েছিল। একটি স্ট্যান্ড বাস দাঁড়ানোর জন্য এবং অপর স্ট্যান্ডটি অটো, ট্রেকার, ট্যাক্সির জন্য। দু’টো স্ট্যান্ডে আলাদা যাত্রী প্রতীক্ষালয়, টাইম টেবিল অফিসও করা হয়েছিল। বর্তমানে অটো, ট্যাক্সি, ট্রেকার স্ট্যান্ড ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই স্ট্যান্ড এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। কেউ রাখছে বালি, কেউ হোটেলের ছাদ বাড়িয়ে ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং ঝুলিয়েছেন।
অন্যদিকে বাসের জন্য যে স্ট্যান্ড করা হয়েছিল সেখানেই এখন চলছে বাস, অটো, ট্যাক্সি, টোটো দাঁড়ানোর স্ট্যান্ড। শুধু তাই নয়, বাসস্ট্যান্ডে জায়গা দখল করে চলছে ছোট ছোট দোকানের ব্যবসা।
রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি তারকনাথ পরামাণিক বলেন, প্রতিদিন বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নের জন্য বাস, অটো, ট্রেকার থেকে টাকা আদায় হয়। কিন্তু সেই টাকা কোথায় যায়, কী হয়, কেউ জানেন না। এক সময় স্ট্যান্ডের টাইম টেবিল অফিসের সামনের অংশটি পরিষ্কার রাখা হতো। নির্দিষ্ট জায়গায় বসত দোকানপাট। এখন বাসস্ট্যান্ডে যত্রতত্র দোকান। গাড়ি দাঁড়ানোর ঠিক জায়গা নেই। এক কথায় বাসস্ট্যান্ড বেদখল হতে চলছে। সব মিলিয়ে এখানে উপেক্ষিত যাত্রীরা।
রঘুনাথপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, পানীয় জলের তেমন ব্যবস্থা নেই। স্ট্যান্ডের যত্রতত্র গর্তে ভরা ও জল জমা রয়েছে। তৃণমূলের রঘুনাথপুর শহর আইএনটিটিইউসি সভাপতির সূর্য চক্রবর্তী বলেন, আমরাও চাই মহকুমা প্রশাসন বাসস্ট্যান্ড নিয়ে পদক্ষেপ করুক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নের জন্য মহকুমা প্রশাসনকে জানিয়েছি। বেদখল সরিয়ে দখলদারি নেওয়া হোক। বাসস্ট্যান্ডের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সেখানে একটি সোলার কল বসানো হবে।
বাসস্ট্যান্ড উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান তথা রঘুনাথপুর মহকুমা শাসক তামিল ওভিয়া এসকে কৃষক নিয়ে ফোন করা হল তিনি রিসিভ করেননি। বাসস্ট্যান্ড কমিটির সম্পাদক তথা রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। দু’একদিনের মধ্যে মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। ওই সময় বিষয়টি জানানো হবে।
বাসস্ট্যান্ডের অটো চালকরা বলেন, আমাদের জন্য আলাদা স্ট্যান্ড হলে অসুবিধা নেই। সেক্ষেত্রে ভালোই হবে।