উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার রাইপুর থেকে কেলাই গ্রাম পর্যন্ত ক্যানেলের পাড়ে অসংখ্য সরকারি গাছ রয়েছে। কয়েকমাস আগে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে সেই গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা সর্তক থাকায় ওই কাটা গাছ পাচার করা সম্ভব হয়নি। ওই সময় পঞ্চায়েত প্রধান শরিফা বিবির সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের বচসাও বাধে। বিষয়টি নিয়ে ওই সময়েই পুলিস ও প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। ঝামেলা বেশি দূর গড়ালে এরপর দুষ্কৃতীরা কাটা গাছ ক্যানেল পাড়ে ফেলে পালায় বলে দাবি। এরপর কেটে গিয়েছে কয়েকমাস।মঙ্গলবার রাতে ফের দুষ্কৃতীরা ওই কাটা গাছ সহ আরও কিছু নতুন গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে দাবি। বাসিন্দারা বুধবার সকালে পুলিসকে খবর দিলে পুলিস কিছু পরিমাণ কাটা গাছের বাজেয়াপ্ত করে। তবে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেশ কিছু কাটা গাছ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুলটি বিবি বলেন, রাতের অন্ধকারে মাসের পর মাস এভাবে সরকারি ক্যানেলের গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত প্রধান ঘনিষ্ঠ। বিষয়টি নিয়ে বিডিওকেও অভিযোগও করা হয়েছে। স্থানীয় ঝিল্লি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল কাদের বলেন, দুষ্কৃতীরা যে পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠ আমাদের কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। এর আগেও পঞ্চায়েত প্রধান বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার চেষ্টা করেছিল। আমরা বাধা দেওয়ায় এভাবে দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা হয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান শরিফা বিবি বলেন, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। একবার সরকারি ভাবে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল পঞ্চায়েত থেকে। খড়গ্রামের বিডিও মিলনি দাস বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। নিজস্ব চিত্র