কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিসের উদ্যোগে আট পাতার নতুন তিন ফৌজদারি আইনের বিষয়বস্তু বাংলা অনুবাদ করে সব থানায় পাঠানো হয়। তাতে কোন মামলায় কী করতে হবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও পাঠানো হয়। ওই নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল ১০৫। এই ধারা অনুসারে যে সমস্ত মামলায় সার্চ করার পর সিজার হবে, সেইসব ক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সেই ভিডিওগ্রাফি থানার কম্পিউটারে স্টোর থাকবে। পাশাপাশি তার কপি পোর্টেবল হার্ডডিস্কে স্টোর করতে হবে। কোর্ট চাইলে জমা করতে হবে। জেলা হেড কোয়ার্টার থেকে প্রতিটি থানায় এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক দেওয়া হবে।
সাধারণত, যেসব মামলা বেশি হয়, সেইসব অপরাধের ধরন, তার আইপিসি ধারা কী ছিল এবং নতুন আইনে কী ধারা হবে, তার কপি পাঠানো হয়েছে। এই কপি থানায় পাঠানো সত্ত্বেও ডিউটি টেবিলে বসা অফিসাররা হোঁচট খান। বারবার আইসি এবং ওসিদের ঘরে গিয়ে কোন ধারা বসাবেন, তা নিয়ে কথা বলেন। নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে সড়গড় হতে আরও অনেকটা সময় লাগবে বলে পুলিস অফিসার ও আইনজীবীরা মনে করছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় পাঁচশো সাব ইন্সপেক্টর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর আছেন। তাঁরাই বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী অফিসার। নতুন আইন নিয়ে তাঁরা মাত্র দু’দিন ধরে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। অনেকেই বলছেন, এটা যথেষ্ট নয়।
সোমবার প্রায় সব থানায় ধারা বসানো নিয়ে দোলাচল পরিস্থিতির কথা জেলা হেডকোয়ার্টারে পৌঁছয়। তারপর বিকেলে প্রতিটি থানায় মেসেজ পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, সবকটি থানায় ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার গিয়ে এসআই এবং এএসআইদের ক্লাস করাবেন। কীভাবে নতুন আইনে ধারা বসাতে হয়, তা নিয়ে সার্কেল ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন থানায় গিয়ে ক্লাস নেবেন। কোন সার্কেল ইন্সপেক্টর কবে কোন থানায় গিয়ে ক্লাস করাবেন, তার তালিকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।