কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
গত ১০ জুন ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও বাড়ির লোকজন নাবালিকার হদিশ পাননি। এদিকে, তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হোসেনও এলাকাছাড়া। মেয়ের নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনায় ওই যুবকের হাত রয়েছে বলে নিশ্চিত হয় নাবালিকার বাড়ির সদস্যরা। এরপর ওই নাবালিকার মা তমলুক থানায় হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে তমলুক থানার পুলিস অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অবস্থান জানার চেষ্টা করে। পুলিসকে ধোঁকা দিতে ওই যুবক তিনবার মোবাইলের সিম বদলেছে। নাবালিকাকে বোন বলে পরিচয় দিয়ে হিমাচল প্রদেশের একটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল।
হোসেনের খোঁজে তমলুক থানার পাঁচজন পুলিসের একটি টিম হিমাচলপ্রদেশে পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানেই অভিযুক্ত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, ওই যুবক নাবালিকাকে নিয়ে হিমাচল প্রদেশে চলে গিয়েছিল। বারবার সিমকার্ড বদলেছে। আমাদের টিম তার খোঁজ পেতে সবরকম চেষ্টা করেছিল। অবশেষে ওই যুবকের নাগাল পাওয়া যায়। সোমবার তমলুক থানায় এসেছিলেন নাবালিকার দাদা। তিনি বলেন, হোসেন আমার বোনকে টিউশনি পড়াত। আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই আমার বোনের ক্ষতি করার জন্য ওর মধ্যে জেদ তৈরি হয়েছিল। আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।