কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
টেলি মেডিসিন পরিষেবা স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এসএসকেএম সহ রাজ্যের অনেক বড় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অনলাইনে থাকেন। টেলি মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তের হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রতিটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র টেলিমিডিসিন পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত। জেলা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হৃদরোগ, স্ট্রোক, নার্ভের সমস্যা নিয়ে ভর্তি রোগীর চিকিৎসায় টেলি মেডিসিন পরিষেবাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
বর্তমানে নানা কারণে মানুষের মধ্যে অবসাদ বাড়ছে। পড়াশোনা থেকে চাকরি, পেশা থেকে সাংসারিক জীবনে মানুষের মধ্যে স্ট্রেস বাড়ছে। এই অবসাদ থেকে নানা ধরনের রোগব্যাধি হচ্ছে। স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। স্ট্রোকে আক্রান্তদের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনা হলে অনেক সময় সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। এই প্রথম এক ঘণ্টাকে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হচ্ছে। তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্প্রতি এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সিটি স্ক্যান করার পর টেলি মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে বাঙ্গুর, এসএসকেএমের মতো প্রথম সারির হাসপাতালের নামী চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। স্ট্রোকে আক্রান্তদের জন্য বহুমূল্যের ইঞ্জেকশন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মজুত রয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমত, বাড়ি থেকে দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য পুলিস যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তাই স্ট্রোকে আক্রান্তের ঘটনা ঘটলে থানায় খবর দিন। দ্বিতীয়ত, রোগীকে হাসপাতালে আনার পর সিটি স্ক্যান করে আমরা টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে কলকাতার নামী হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছি। অনলাইনে স্ক্যানের রিপোর্ট পাঠানো হয়। তারপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিষেবা দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, এধরনের রোগীর জন্য যে বহুমূল্য ইঞ্জেকশন প্রয়োজন হয় সেটি তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মজুত আছে। বিনামূল্যে দেওয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে রোগী ৪৮ঘণ্টা পরই হেঁটে বাড়ি ফিরছেন।