কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২২ জুন জামবনী থানার খাটকুরায় ঘটনাটি ঘটে। শহরের বেনেগেড়িয়ার বাসিন্দা সৌরভ সাউ (২৩) স্কুটিতে তাঁর বন্ধু অক্ষয় মাহাতর সঙ্গে ঘুরতে যান। এরপর তাঁরা বেশকিছু জায়গা ঘুরে জামবনী খাটখুরা এলাকায় কোনও কাজের সূত্রে গিয়েছিলেন। কাজ শেষ হলে বিকেলে খাটখুরা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দুই বন্ধু। সেই সময় এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহে দুই বন্ধুকে ধরে গণপিটুনি দেয়। ঝাড়াগেড়িয়া ও খাটখুরার এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ হচ্ছিল। পিচ মিক্সসিং করার জন্য একটি ঠিকাদারি সংস্থার রাস্তা নির্মাণের গাড়ি রাখা ছিল। সেই গাড়ি থেকে লোহার জিনিস চুরির অভিযোগ ওঠে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর গ্রামবাসীরা তাঁদের দু’জনকে বেধড়ক মারধর করে। পুলিস দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছিল না সৌরভ। তবে তাঁকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যান চিকিৎসকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ন’দিনের মাথায় রবিবার মৃত্যু হয় সৌরভের। অক্ষয় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝাড়গ্রামের এসডিপিও সামিম বিশ্বাস বলেন, মারধর ও খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেখা হচ্ছে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না।
এদিন আদালতে এসেছিলেন মৃত সৌরভের মা প্রতিমা সাউ। তিনি বলেন, আমার ছেলে চুরি করেনি। ছেলেকে মিথ্যা দোষী করে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।