সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার জোতকমলে বাড়ি ইউসুফের। তাঁর স্ত্রী রুকসা পারভিন গর্ভযন্ত্রণা নিয়ে রঘুনাথগঞ্জের উমরপুরের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদিন তিনি ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। দম্পতির এটাই প্রথম সন্তান। ইউসুফ-রুকসা দু’জনেই চেয়েছিলেন কন্যা সন্তান হোক। সেই আশা পূরণ হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা ইউসুফ। তিনি মেয়ে ও স্ত্রীকে বাড়ি ফেরানোর মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রাখতে এলাহি আয়োজন করেন। ফুল দিয়ে সাজিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ১২টি স্করপিও। সে এক সজো সাজো ব্যাপার। তখন উৎসবের মেজাজ হাসপাতাল চত্বরে।
প্রতিটি গাড়িতে ছিলেন ইউসুফের আত্মীয়-স্বজনরা। তাঁর পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে নবজাতিকা ও প্রসূতিকে অভ্যর্থনা জানান। ফুল, বেলুন দিয়ে মাতৃযান প্রকল্পের অ্যাম্বুল্যান্স সাজিয়ে তোলা হয়। তাতে সযত্নে তোলা মা-মেয়েকে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে রওনা দেন বাড়ির পথে। বাড়িতেও মিষ্টির পর্যাপ্ত আয়োজন রেখেছিলেন ইউসুফ। গ্রামের সবাইকে মিষ্টিমুখ করান। ইউসুফের মা বলছিলেন, ‘আমার কোনও মেয়ে ছিল না। তাই ইউসুফ এলাকার ছোট ছোট মেয়েদের খুব ভালবাসত। আর আমার বউমার কোলেই মেয়ে এল। এটা আমাদের কাছে পরম প্রাপ্তি।’
ইউসুফের কথায়, ‘প্রথম সন্তান মেয়ে চেয়েছিলাম। চিকিৎসক এই খুশির খবরটা দেওয়ার পরই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। মেয়ে জন্মগ্রহন করলে অনেকেই মন খারাপ করেন। আমি মনে করি, ঘরে মা লক্ষ্মী এসেছেন।’ রুকসা পারভিন বলেন, ‘মেয়েদের এমন সন্মানই দেওয়া উচিত। সকলেরই আমার স্বামীর মতো মানসিকতা হওয়া দরকার।’ হাসপাতালের চিকিৎসক অরবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু সকলেরই ইউসুফের মতো কন্যাসন্তানকে বরণ করা উচিত।’