কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাটি উৎসব থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলাকে নির্মল জেলা বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, এই নির্মল জেলার ২৩টি ব্লকের ৬৭ হাজার ৪৮টি বাড়িতে শৌচালয় নেই। গত সোমবার ‘২৩ ব্লকের ৬৭ হাজার বাড়িতে নেই শৌচালয়’ এই শিরোনামে সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিতও হয়েছিল। প্রসঙ্গত, চলতি আর্থিক বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে ওই ৬৭ হাজার বাড়িতে শৌচালয় তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর আগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৭ হাজার শৌচালয়ের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মাত্র ১৬০০ শৌচালয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এই শৌচালয় তৈরি করার জন্য সরকার থেকে প্রত্যেক বেনিফিসিয়ারিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এই ৬৭ হাজার ৪৮টি বাড়িতে শৌচালয় তৈরির জন্য সরকার নতুন করে ৬৭ কোটি চার লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ করবে। প্রত্যেক বেনিফিসিয়ারিকে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে কেবলমাত্র ৯০০ টাকা করে দিতে হবে।
‘মিশন নির্মল বাংলা’ এবং নির্মল জেলার বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে জেলাশাসক এদিন বর্ধমান শহরের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ওই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে জেলাশাসক জানান, ২০১৩ সালে ‘বেস লাইন সার্ভে’ করা হয়েছিল। জেলার ন’লক্ষ ২৭ হাজার ৭৯টি বাড়ির মধ্যে পাঁচ লক্ষ ৬১ হাজার ৪২৩টি বাড়িতে শৌচালয় ছিল। কিন্তু, তিন লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৫৬টি বাড়িতে শৌচালয় ছিল না। ২০১৩-’১৪ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরের মধ্যে সরকারের তরফে ওই তিন লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৫৬টি বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের জেলা ওডিএফ জেলা হওয়ায় মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার থেকেই জেলায় ‘ওডিএফ সাস্টেন্যাবেলেটি’ এবং ‘ওডিএফ প্লাস’ কর্মসূচিতে বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতি গ্রামে জন সচেতনতামূলক দেওয়াল লিখন ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ওডিএফ (ওপেন ডেফিকেশন ফ্রি) বোর্ড প্রদর্শন করা হবে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যবিধান বিষয়ে জেলাজুড়ে বিশেষ গ্রামসভা করা হবে।
তৃতীয়ত, মায়েদের নিয়ে স্বাস্থ্যবিধান বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হবে। চতুর্থত, স্বাস্থ্যবিধান বিষয়ে বিদ্যালয়ে ও কলেজস্তরে স্লোগান রচনা প্রতিযোগিতা করা হবে। পঞ্চমত, মানববন্ধন গড়ে তোলার কর্মসূচি করা হবে। ষষ্ঠত, পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হবে। সকল সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এলাকায় এই অভিযান করা হবে। সপ্তমত, ‘কমিউনিটি ট্রিগারিং’ করা হবে। অর্থাৎ গ্রামবাসীদের নিয়ে স্বাস্থ্যবিধান বিষয়ক সচেতনতা সভা করা হবে। এই কর্মসূচিগুলি আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ২ তারিখ গান্ধী জয়ন্তী উদ্যাপন ও প্রচারাভিযান কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।