কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিন সকালে দলুয়া গ্রামে হানা দেয় পুলিস। তারা দীর্ঘক্ষণ এলাকার একটি পুকুর পাড়ে তল্লাশি চালানোর পর বোমা ভর্তি ড্রামগুলি উদ্ধার করে। এলাকাটি বেলডাঙা-১ ব্লকের মাড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিনের বাড়ির পিছন ও পুকুর সংলগ্ন কিছুটা জায়গার মাটি আলগা ছিল। সেই এলাকার চারপাশে কচু গাছ ও জঙ্গল ছিল। সেই এলাকায় মাটি খুঁড়তেই পর পর তিনটি ড্রাম বেরিয়ে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বহরমপুর থেকে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। তারা সেখান থেকে কিছুটা দূরে আমবাগান সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে। পাশাপাশি, পরীক্ষার জন্য তারা নিষ্ক্রিয় বোমার কিছু অংশ সংগ্রহ করে রেখেছে। বেলডাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আব্দুল মতিনের বাড়ির পিছন থেকে বোমা ভর্তি ড্রামগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি ড্রামে ১২৫টি তাজা সকেট বোমা ছিল। সেগুলি বেশ কিছুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরই এলাকার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মতিন সাহেবের স্ত্রী সাকিলা বিবি একদা মাড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। তখন তিনি সিপিএমের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মতিন সাহেব ও তাঁর স্ত্রী সিপিএম ত্যাগ করে তৃণমূলে শামিল হন। ব্লক তৃণমূল অবশ্য মতিন সাহেবেরে পাশে দাঁড়াচ্ছে না। মতিনসাহেব দলের সদস্য নন বলে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব দাবি করেছে। তৃণমূলের বেলডাঙা উত্তর ব্লক কমিটির সভাপতি বনতোষ ঘোষ বলেন, লোকসভা ভোটের আগেই আব্দুল মতিন ও তাঁর স্ত্রী কংগ্রেসে শামিল হন। লোকসভা ও নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ওরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। এলাকায় সন্ত্রাস চালাতেই কংগ্রেসের কথা মতো মতিন সাহেব বোমাগুলি মজুত করেছেন বলে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুলিসের কাছে জানিয়েছি।
আব্দুল মতিন অবশ্য বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী এখনও তৃণমূলে আছি। গত পঞ্চায়েত ভোটে আমি তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলাম। সেইসময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে শামিল হওয়া কিছু কর্মী নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে আমাকে হারায়। লোকসভা ভোটে ও বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের ওই কর্মীরাই কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন। এখন মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। একটি পারিবারিক গোলমালকে হাতিয়ার করে দলের একাংশ এমন ষড়যন্ত্র করছেন। বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে বিস্তারিতভাবে জানাব। এদিকে, কংগ্রেসও ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে। বেলডাঙার বিধায়ক কংগ্রেসের সফিউজ্জামান বলেন, আব্দুল মতিনের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। বোমা মজুতের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। তা ধামাচাপা দিতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা করছে তৃণমূল।