কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ভাতারের ওড়গ্রামে বাইক দুর্ঘটনায় জখম হন ভুবনেশ্বর গড়াই। কান থেকে গল গল করে রক্ত বেরচ্ছিল। তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনেন পরিবারের লোকজন। জরুরি বিভাগের গেট তখন বন্ধ। ইন্টার্নদের কাছে গেট খুলে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করেন দাদা ভুবনেশ্বরের দাদা বিশ্বনাথবাবু। তাতে কাজে না আসায় আন্দোলনরত ইন্টার্নদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। একইভাবে উখরার উমা মাঝির পায়ে পেরেক গেঁথে ভর্তি আছেন ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দোতলায়। বুধবার তাঁর অপারেশন হওয়ার কথা। কিন্তু, ইন্টার্নদের কর্মবিরতির জেরে কোনও চিকিৎসাই হচ্ছে না বলে দাবি করেন পিসি লক্ষ্মী হেমব্রম। ইমার্জেন্সি বিভাগের বিল্ডিংয়ে দোতলায় সিবিএস মেল, ফিমেল, অর্থোপেডিক, ওটি রয়েছে। কলাপসিবল গেট বন্ধ থাকায় কাতারে কাতারে রোগীর পরিবারের লোকজন বাইরে আটকে পড়েন। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কলাপসিবল গেট ধরে টানাটানি চলে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা এবং ধস্তাধস্তি বাধে। খবর পেয়ে ছুটে আসে হাসপাতালে ক্যাম্পের পুলিস কর্মীরা।
এদিন ইন্টার্নরা সকালে বেশ কিছুক্ষণ ইমার্জেন্সি বিভাগের গেট বন্ধ রেখে আন্দোলন করেন। জরুরি বিভাগের সামনে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি। বৈঠকের পর জরুরি বিভাগ থেকে বেরিয়ে তাঁরা ইউএসজি রুমের কাছে গিয়ে অবস্থান আন্দোলনে শামিল হন। বিকেলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরাও আন্দোলনে শামিল হন। তাঁরা অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হন।
এদিন জুনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালে কাজকর্ম করেননি। অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি ইমার্জেন্সি বিভাগেও প্রভাব পড়েছে। এই অবস্থা কতদিন চলবে তানিয়ে চিন্তিত রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন। এরআগে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করলেও ইমার্জেন্সি বিভাগের গেট বন্ধ করার ঘটনা নজিরবিহীন। কর্তৃপক্ষের নজর কাড়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারে ইন্টার্নদের এই পদক্ষেপ মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়, এমনটাই দাবি শাসক দলের নেতাদেরও।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট সৌরভ দে বলেন, এনআরএসে যে ঘটনা ঘটেছে একই ঘটনা আমাদের হাসপাতালেও যেকোনও সময় ঘটতে পারে। উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এদিন ইন্টার্নদের পাশাপাশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরাও আন্দোলনে শামিল হন। সিনিয়র চিকিৎসকদেরও তাতে সম্মতি ছিল।