উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
গত সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ মাথাভাঙা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙা হাই রোডে দূরপাল্লার একটি বেসরকারি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী চালককে বন্দুক দেখিয়ে ও সহকারী চালককে মারধর করে দু’টি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। পুলিস তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে নিয়ে আসে। রাতে গাড়ি সহ চালককে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত মূল দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চলছে।
পুলিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা গাড়ি পাল্টে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে। অসমের দিকে তাদের যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহার করা গাড়িটি কোচবিহার শহর সংলগ্ন টাকাগাছ এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে দু’দিন পরও ঘোকসাডাঙা সহ মহকুমাজুড়ে জোর চর্চা রয়েছে সেই পার্সেলে কী ছিল। পার্সেল রহস্য নিয়ে এদিন কিছু বলতে চায়নি পুলিস। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তাঁদের বক্তব্য, কী এমন দামি জিনিস ছিল পার্সেলে, এজন্য দিনেদুপুরে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা।
মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, বাস ডাকাতির ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা বেশকিছু সূত্র পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। পার্সেলে কী ছিল সেটাও সঠিক সময়ে জানা যাবে। আমরা দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করব।