উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
ময়নাগুড়িতে ১৯৭৫ সালে গঠিত হয়েছিল গুমটি ব্যবসায়ী সমিতি। সেসময় সন্টু বক্সি, বিজয় সাহা, বাপি গুহ সহ কয়েকজন মিলে গঠন করেন এই ব্যবসায়ী সংগঠন। সেসময় সদস্য সংখ্যা ছিল ২০-২৫ জন। ধীরে ধীরে ময়নাগুড়ির জনসংখ্যা বেড়েছে। ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ময়নাগুড়িতে গুমটি ব্যবসায়ী পাঁচ শতাধিক। বুধবারের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে সকল গুমটি ব্যবসায়ী এখনও পর্যন্ত সমিতিতে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাননি, তাঁদের আগামী শনিবারের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরবর্তীতে সমিতি একটি তালিকা তৈরি করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তা পুরসভা অফিসে জমা দেবে।
সমিতির থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৩২০ জন গুমটি ব্যবসায়ীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী রয়েছেন পাঁচশোর বেশি। ব্যবসায়ী সমিতির দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাছে থেকে গুমটি ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট ফর্ম সংগ্রহ করে সমিতির অফিসে জমা দিতে পারবেন।
কিছুদিন আগে ময়নাগুড়ি পুরসভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সহ প্রশাসনিক কর্তাদের একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অতি দ্রুত ময়নাগুড়ির গুমটি ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করে পুরসভায় জমা দিতে। সেই মোতাবেক বুধবার এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গুমটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিমলেন্দু চৌধুরী বলেন, আমরা সদস্যপদের জন্য ফর্ম দেওয়া শুরু করেছি। আধার কার্ড নিয়ে এসে এই ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। শনিবারের মধ্যেই আমরা এ কাজ শেষ করব। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের নাম ধরে তাঁদের দোকানে যাওয়া হবে। সব পরীক্ষা করে পুরসভা অফিসে চূড়ান্ত তালিকা জমা দেব।
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বর্তমান সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। প্রাথমিকভাবে যে তালিকা তৈরি হবে, সেই অনুযায়ী গুমটি ব্যবসায়ীদের নথিপত্র যাচাই করা হবে। আমরা চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে পুরসভায় যাব। যাঁরা এখনও পর্যন্ত সমিতিতে নাম নথিভুক্ত করাননি, তাঁদের নাম জমা দিতে বলা হচ্ছে।