উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
নতুনপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষায় ভোগান্তি পোহাতে হয় তাঁদের। এবছর নালা বানানো হয়েছে। তবে সেই নালা সংকীর্ণ হওয়ায় জল বেরতে পারছে না। পঞ্চায়েত সদস্যকে বহুবার বলেও সুরাহা হয়নি। গ্রামেই রয়েছে গিরিবালা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। সামনে জমে থাকা জল পেরিয়ে ওই কেন্দ্রে ঢুকতে হচ্ছে শিশুদের। টানা কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে ঘরে জল ঢুকে পড়ছে। তখন বন্ধ রাখতে হচ্ছে পড়াশোনা।
গিরিবালা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী পুষ্পিতা ঘোষ মহন্ত বলেন, জল পেরিয়ে একমাস ধরে সেন্টারে ঢুকতে হচ্ছে। শিশু ও প্রসূতিরাও জল পেরিয়ে আসছে। প্রতিবছর বর্ষায় সময় মিড ডে মিল রান্নার ঘর জলে ডুবে যায়। এবারও একই সমস্যা। অভিভাবক অনামিকা বিশ্বাস জানান, জমে থাকা জল পেরিয়ে শিশুকে অঙ্গনওয়ারি সেন্টারে দিয়ে যেতে হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা মণিকা বিশ্বাস বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় এসেছিলেন। তিনি পরিস্থিতি দেখে গিয়েছেন। বাড়িতে হাঁটুজল জমে রয়েছে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে গৃহবন্দি সকলে। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। স্থানীয় আশাকর্মী জুঁই মানি বলেন, জমে থাকা জলে বর্জ্য মিশে আছে। এতে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কুয়োয় মিশছে নোংরা জল। কুয়োর জল খেলে ডায়ারিয়া হতে পারে। পাশাপাশি জমা জলে ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি ঘটারও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে গোঁসাইপুর নতুনপাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য বিলাশ ঘোষ বলেন, ওই এলাকা নিচু হওয়ায় জল জমার সমস্যা থেকে বেরনো যাচ্ছে না। দু’মাস আগে একটি নিকাশি নালা বানানো হয়েছে। ওই নালা থেকে আরএকটি সংযোগ নালার প্রয়োজন, না হলে জল জমা ঠেকানো যাবে না। বর্ষা পেরলে দ্বিতীয় নালার কাজ শুরু করা হবে। তবে আমরা বসে নেই, উপায় খুঁজছি। রাস্তায় মাটি ফেলা হবে শীঘ্রই। একই কথা জানিয়েছেন গোঁসাইপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমৃতলাল সরকার।