উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার উপাচার্য অফিস রুমে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান। পরে তিনি কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এবং রেজিস্ট্রারও থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই টানাপোড়েনের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অনেকেই যে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কাজে এসে এদিন অনেকেই ফিরে যান। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় বলেন, এখানে অনেক কিছুই ঘটছে যা রহস্যজনক। আমাদের নিজস্ব তালা গেটে লাগানো ছিল। সেই তালা খোলা। যে তালা অন্য কেউ লাগিয়েছিল সেই তালাটি আজ দেখি উধাও। আমরা মনে হচ্ছে এর পিছনে গভীর যড়যন্ত্র চলছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসার জানিয়েছেন কে তালা খুলেছেন তা জানেন না। প্রশাসনিক কাজকর্মে যাতে ব্যাঘাত না হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপাচার্য আরও বলেন, সাসপেন্ডে রেজিস্ট্রার এসে তাঁর চেম্বারে বসেছেন। মঙ্গলবারই তিনি তালা ভেঙে ঢুকেছেন। যতদূর জানি আদালত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। আমি আচার্যকে জানিয়েছি। বিস্তারিত লিখিতভাবে জানাব। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
এমএসসি’র শংসাপত্র নিতে ফালাকাটা থেকে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন সেলিনা পারভিন। তিনি বলেন, আমি শংসাপত্র নিতে আসি। পরীক্ষা নিয়ামককে বিষয়টি জানানো পর আমাকে সংবাদপত্র দিয়ে বলা হয়, কোনও খবর দেখেননি? জানানো হয়, যতক্ষণ না সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে ততক্ষণ কিছু করার নেই। এতে হয়রানি হতে হল।
সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার চেয়ারম্যান শৌভিক ধর বলেন, আমাদের আট দফা দাবিতে আগে থেকেই অবস্থান চলছিল। উপাচার্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কেন অভিযোগ দায়ের করা হল সেই কারণেই আমরা অবস্থানে বসেছি। যতক্ষণ অভিযোগ প্রত্যাহার না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।