কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
জেলা পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, বাসের চালক ও সহ চালকের উপর হামলা চালিয়ে দু-তিনটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওদের কাছে হয়তো খবর ছিল ব্যাগে কিছু রয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলছে। ডাকাতদের ব্যবহার করা গাড়িটি কোচবিহারের একটি গ্যারেজ থেকে রাতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঘটনায় স্পষ্ট, নিছক ডাকাতি নয়, দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিল ড্রাইভারের সিটের নীচে থাকা পার্সেল। আর এখানেই প্রশ্ন, এমন কী ছিল ওই পার্সেলে! বাসের চালক ও সহ চালক কি এ ব্যাপারে সবটাই জানতেন? কেনই বা ওই পার্সেলটি চালকের সিটের নীচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? যদিও পুলিসের দাবি, তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে এখনও কিছু বলা সম্ভব নয়।
চলন্ত বাসে ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিস সুপার, মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই, এসডিপিও সমরেন হালদার। যাত্রীদের পাশাপাশি বাসের চালকের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের মারে জখম হওয়ায় ঘোকসাডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় সহ চালক আশিস পালকে। পরে তাঁকে রেফার করা হয় কোচবিহার মেডিক্যালে।
দুষ্কৃতীদের ধরতে মাথাভাঙা-কোচবিহার রাজ্য সড়ক সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিস। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ধূপগুড়ি নাকা চেকিং পয়েন্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া একটি গাড়ির ছবি পোস্ট করে পুলিস জানায়, ওই গাড়িতে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
বাসের যাত্রী স্মৃতি সরকার বলেন, কোচবিহারে যাওয়ার জন্য ঘোকসাডাঙা চৌপথি থেকে বাসে উঠেছিলাম। পিছনে সিট ফাঁকা না থাকায় কেবিনে গিয়ে বসি। বাস কিছুদূর যেতেই পিছনের সিট ছেড়ে কয়েকজন কেবিনে আসে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। কিছু একটা পার্সেল চাইছিল তারা। কেবিনে একটি গুলিও চালিয়ে দেয়। তারপর চালকের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।