কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর সংলগ্ন ভীমবারের বাসিন্দা বাছামনি টুডুর বছর কুড়ি আগে পেটকির জজটোলার চুন্ডা সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। দিন কুড়ি আগে তাঁর স্বামী মারা যান। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডাইনি সন্দেহ ওই বধূকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তিনদিন আগে ২৬ জুন বাছামনিকে অচৈতন্য অবস্থায় দাদা ভগেন টুডুর বাড়িতে ফেলে চলে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা বলে, মদ খেয়ে সে হুঁশ হারিয়েছে। কিন্তু তিনদিন পরও ওই বধূর জ্ঞান ফেরেনি।
টুডু পরিবারের লোকজন তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। শনিবার চিকিৎসক মারফত আসল বিষয়টি জানতে পারে টুডু পরিবার। বধূর শরীরের একাধিক জায়গায় অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। রবিবার সোরেন পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন ভগেন বাবু। তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর বোনকে ডাইনি সন্দেহে মারধর করা হয়েছে। ওকে তাড়াতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই সব করছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
যদিও পুরো বিষয়টি মানতে রাজি নয় সোরেন পরিবার। বধূর ভাসুর মঙ্গল সোরেন বলেন, গোটাটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওই পরিবার আমাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে। বাছামনিকে তাঁর ইচ্ছাতেই দাদার বাড়িতে ছেড়ে আসা হয়েছে। ও সবসময় মদ্যপ অবস্থায় থাকত। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিস। ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি ইফতিকার উল হুসেন বলেন, মহিলার দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।