কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
মাদারিহাট বিধানসভায় ১২টি অঞ্চল। এরমধ্যে দু’টি অঞ্চল সাঁকোঝোরা-১ ও বিন্নাগুড়ি জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের অধীন। ১২টি অঞ্চলের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলই লোকসভা ভোটে ছ’টি করে অঞ্চলে লিড পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস লিড পেয়েছে টোটোপাড়া-বল্লালগুড়ি, বান্দাপানি, লঙ্কাপাড়া, হাণ্টাপাড়া, খয়েরবাড়ি ও নঙ্কাপাড়া অঞ্চলে। বিজেপি লিড পেয়েছে সাঁকোয়াঝোরা-১, বিন্নাগুড়ি, শিশুঝুমড়া, বীরপাড়া-১, ও ২ এবং মাদারিহাট অঞ্চলে। লোকসভা ভোটে বিজেপি সার্বিকভাবে ১১ হাজার ৬৩ ভোটের লিড পেয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক এখন দিল্লিতে। দলের জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, যে কোনও দিন মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। তাই সময় নষ্ট না করে দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের জন্য দলের ব্লকভিত্তিক প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়েছে। এবার অঞ্চলভিত্তিক বৈঠকও শুরু হচ্ছে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, বৈঠকগুলিতে প্রতিটি অঞ্চলের লোকসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকে লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলিতে কী করে আরও ভোট বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। ছ’টি অঞ্চলে কেন দল পিছিয়ে পড়ল তার কারণও খতিয়ে দেখা হবে।
মাদারিহাটে মোট ২৪টি চা বাগান। অন্যান্য চা প্রধান বিধানসভাগুলির মতো মাদারিহাট বাগানের শ্রমিকরাই যে কোনও ভোটে নির্ণায়ক ভূমিকা নেন। অর্থাৎ বাগানের শ্রমিকরা যে দলের দিকে যাবে সেই দলই বাজিমাত করবে। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে মাদারিহাটের চা বাগানগুলিতে তৃণমূল কোথাও ৩০, কোথাও ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেত না। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটে মাদারিহাটের শ্রমিকরা তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন।
তার জন্যই এবার লোকসভায় মাদারিহাটে গেরুয়া শিবিরের লিড মাত্র ১১ হাজারে নেমে এসেছে। কার্যত বিজেপি সার্বিক লিড পেয়েছে শহরাঞ্চলের ভোট টেনে। উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে অঞ্চলভিত্তিক বৈঠকগুলিতে শহরাঞ্চলে ভোট বাড়ানোর টার্গেট নিয়েছে শাসক তৃণমূল। চা বাগানের প্রচারে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথা আরও বেশি করে তুলে ধরার উপর জোর দেওয়া হবে আঞ্চলিক বৈঠকে।