কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে অজয় রায় ও মনোজ রায়ের বাড়ি ধূপগুড়িতে। অভিযুক্ত জগা বর্মনের বাড়ি ফালাকাটায়। এদিকে, টোটো উদ্ধারের খবর পেয়ে টোটোচালকরা সোমবার ময়নাগুড়ি থানায় আসেন। তারা ময়নাগুড়ি থানার পুলিসের কাজের প্রশংসা করেছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ফালাকাটার কলেজপাড়ায় অভিযুক্ত মনোজ রায় টোটো বিক্রি করতে আসে। মনোজের নামে আগেই ঘোকসাডাঙা থানায় চুরির অভিযোগ রয়েছে বলে তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে। সূত্রের টোটো বিক্রির খবর চলে আসে ময়নাগুড়ি থানায়। সেই মোতাবেক ফালাকাটা কলেজপাড়ায় অভিযান চালায় থানার সাদা পোশাকের পুলিস। তবে সেখান থেকে পালিয়ে যায় মনোজ। তার মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে পাকড়াও করা হয়। তার হেফাজত থেকে দু’টি টোটো ও তিনটি ব্যাটারি উদ্ধার হয়। পাশাপাশি তাকে জিজ্ঞসাবাদ করে অজয় রায়ের খোঁজ মেলে। অজয়ের কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় দু’টি বাইক। এরপর তাদের কাছ থেকে জগা বর্মনের নাম পায় পুলিস। তার বাড়ি ফালাকাটায়। এরপর জগাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিস। তার কাছ থেকে তিনটি টোটো উদ্ধার হয়। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয় পরে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে কিছু নকল চাবি উদ্ধার করেছে পুলিস।
ময়নাগুড়ির বাসিন্দা টোটোচালক জয় রায় বলেন, ২৬ জুন ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। ব্যাঙ্কে কাজ করে রাস্তায় এসে দেখি, টোটো নেই। পরে ময়নাগুড়ি থানায় জানাই। সোমবার থানা থেকে ফোন করে বলা হয়, আমার টোটো উদ্ধার হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় থানা থেকে টোটো সংগ্রহ করব। পুলিসের ভূমিকায় আমি খুশি। আরএক টোটোচালক জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রতন রায় বলেন, জল্পেশে ভাড়া নিয়ে এসেছিলাম। সেই টোটো চুরি হয়ে যায়। টোটো চালিয়ে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সংসার চলে। টোটো ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। পুলিস টোটো উদ্ধার করেছে। থানা থেকে ফোন করায় এসে দেখি, আমারই টোটো। নিশ্চিত হলাম। আইসি সুবল ঘোষ বলেন, থানায় দু’টি টোটো চুরির অভিযোগ জমা পড়েছিল। তদন্তে নেমে পাঁচটি টোটো সহ দু’টি বাইক উদ্ধার হয়েছে।